সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ঘোষিত ১৩ দফা দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে চান হেফাজতে ইসলামের নেতারা। এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে হেফাজত নেতাদের যোগাযোগ চলছে বলে জানা যায়। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে এ বৈঠক হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ দিকে ১৩ দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল শনিবার রাজধানীর কাজী বশির মিলনাতনে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনের আয়োজন করেছে হেফাজত।
ধর্ম অবমাননার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে আইন করাসহ ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। দাবি আদায়ে ৬ মে রাতে হাজার হাজার নেতাকর্মী মতিঝিলে অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয়। এ সময় অনেকে নিহত ও আহত হন বলে হেফাজত নেতারা দাবি করে আসছেন। পরবর্তীতে গত বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও হরতালকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু নেতাকর্মী নিহত হন। এ সময় কেন্দ্রীয় অনেক নেতাসহ সারা দেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হন। তাদের অনেকে বর্তমানে জামিনে মুক্তি পেলেও মাওলানা মামুনুল হকসহ এখনো বেশ কিছু নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। এসব পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামে হাটহাজারী মাদরাসায় সংগঠনের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন এবং কারাবন্দী হেফাজত নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হেফাজতের নামে ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
জানা যায়, হেফাজত নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে এ চিঠি দিতে চান। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে একটি বৈঠক করতে চান তারা। সে আলোকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তাদের আলাপ আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে এ বৈঠক হতে পারে হেফাজতের সূত্রে জানা গেছে। এ দিকে ১৩ দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল শনিবার সকালে রাজধানীর কাজী বশির মিলনাতনে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনের আয়োজন করেছে হেফাজত। মোট ২৬টি শর্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তাদের এ সম্মেলন করার অনুমতি দিয়েছে।