পঞ্চগড়ে দুই দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৮

Slider রংপুর


পঞ্চগড়ের দুই দিন ধরে একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবারের মতো আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রোববার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই তাপমাত্রা অনেকেটা কমেছে। গত দুদিন ১২ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। দিনের তাপমাত্রাও অনেকটা কমেছে। সোমবার বিকেল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

স্থানীয়রা জানান, চলতি সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে। হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চলে আগেই শীত নামে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হয়। সকাল ১০টা থেকে তাপমাত্রা বাড়লেও বিকেল ৩টার পর থেকে তাপমাত্রা কমে আসে।

এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, টানা দুদিন ধরে একই হারে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সোমবারও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আর দিনের তাপমাত্রা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। সোমবার বিকেল ৩ টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২৯-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *