উন্নয়ন-অনুন্নয়ন দুই খাত থেকেই বাড়তি বরাদ্দের চাপ ছিল। তবে অর্থমন্ত্রী যেমনটি চেয়েছিলেন, নতুন বাজেটের আকার শেষ পর্যন্ত সে রকমই থাকছে। অর্থাৎ তিন লাখ কোটি টাকার নিচেই স্থির হচ্ছে ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট। একদিকে বাড়তি অর্থসংস্থানের কোনো উৎস না পাওয়া, অন্যদিকে ঘাটতি বাজেট আইএমএফের বেঁধে দেওয়া সীমার মধ্যে রাখার সংকল্প। ফলে দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকায় থামতে হলো অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে, এবার নিয়ে টানা সাতটি বাজেট পেশ করার বিরল কৃতিত্ব যাঁর।
বাজেট তিন লাখ কোটি টাকার ঘর না ছুঁলেও গত জানুয়ারি থেকে দুই-তিন মাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা যেভাবে দেশের অর্থনীতিকে প্রায় ‘কোমায়’ ঠেলে দিয়েছিল, সেখান থেকে ফিরে এত বড় বাজেট প্রণয়নকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছেন অর্থ কর্মকর্তারা। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। তবে পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এটি কমিয়ে আকার দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে অর্থ বিভাগ। অর্থাৎ নতুন বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি।
সপ্তাহখানেক আগে কালের কণ্ঠকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, ‘নতুন অর্থবছরের বাজেট তিন লাখ কোটি টাকার মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর কথায় বরাদ্দ নির্ধারিত হিসাবের চেয়ে চার কোটি টাকা বাড়াতে হয়েছে। ফলে নতুন অর্থবছরের বাজেট তিন লাখ কোটি টাকারও বেশি হবে।’
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার সঙ্গে আরো চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা যোগ করার তাগিদ ছিল অর্থমন্ত্রীর। তবে অতিরিক্ত ওই অর্থ সংস্থানের কোনো পথই খোলা পাননি তিনি। এমনিতেই রাজস্ব বোর্ডকে মাত্রাতিরিক্ত লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। তাই রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দেননি। কারণ, রাজনীতিতে স্বস্তি থাকলেও গুমোট ভাব কাটেনি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। ফলে নতুন অর্থবছরে যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে, কেবল এ সম্ভাবনার ওপর ভর করে ‘বোঝার ওপর শাকের আঁটি’ চাপানোর প্রস্তাবে সম্মত হননি তাঁরা।
আরেকটা পথ অবশ্য খোলা ছিল। তা হলো, আয়ের কোনো উপায় না থাকলে তা ঘাটতি অর্থায়নের সঙ্গে যুক্ত করা। কিন্তু তাতে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াত জিডিপির ৫ শতাংশেরও বেশি। ফলে সেই পথ মাড়ায়নি অর্থ বিভাগ। বাজেটে আইএমএফের প্রত্যক্ষ কোনো সহায়তা না লাগলেও ঘাটতি ৫ শতাংশের নিচে রাখার যে সীমারেখা সংস্থাটি টেনে দিয়েছে, তা অতিক্রম করতে চায়নি অর্থ বিভাগ। তাই প্রয়োজন ও ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাজেটের আকার তিন লাখের নিচেই রাখতে হলো অর্থমন্ত্রীকে।
অর্থ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা জানান, নতুন বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ আট হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এটি ছিল এক লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। তবে ওই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা ক্ষীণ হওয়ায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে এক লাখ ৬৩ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পর্বতসম রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা, এর মধ্যে এনবিআর নিয়ন্ত্রিত করব্যবস্থা থেকে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা আয় করতে চায় সরকার। এটি চলতি অর্থবছরের বাজেটের মূল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। এ বছর এনবিআর নিয়ন্ত্রিত করব্যবস্থা থেকে এক লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা-বিনিয়োগে ধসের কারণে ওই লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে যেতে পারেনি এনবিআর। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে এক লাখ ৩৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজস্ব আয়ে ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে ব্যবসায়ীদের ঘর থেকে বিনিয়োগের মাঠে নিয়ে যেতে হবে অর্থমন্ত্রীকে।
রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত করব্যবস্থার বাইরে সরকারের আয়ের ছোট ও মাঝারি মানের আরো তিনটি খাত রয়েছে। এগুলো হলো এনবিআর-বহির্ভূত কর, কর ব্যতীত প্রাপ্তি (সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সেবা ফি) ও বৈদেশিক অনুদান (যেহেতু বিদেশি অনুদান ফেরত দিতে হয় না, তাই এটি আয় হিসেবে গণ্য করা হয়)। নতুন বাজেটে এনবিআর-বহির্ভূত কর খাত থেকে পাঁচ হাজার ৮৭৪ কোটি, কর ব্যতীত প্রাপ্তি ২৬ হাজার ১৯৯ কোটি এবং বৈদেশিক অনুদান হিসেবে পাঁচ হাজার ৮০০ কোটি টাকা পাওয়ার আশা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থাৎ দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেটে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সব মিলিয়ে সরকারের আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে দুই লাখ আট হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। তবে কাঙ্খিত বৈদেশিক অনুদান পাওয়া গেলে এটি হবে দুই লাখ ১৪ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই পরিমাণ বৈদেশিক অনুদান পাওয়া গেলে বাজেটে ঘাটতি থাকবে ৮০ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৪.৭ শতাংশ। তবে অনুদান পাওয়া না গেলে ঘাটতি পৌঁছবে জিডিপির ৫ শতাংশে, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি।
চলতি অর্থবছরের মূল বৈদেশিক অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছিল ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে তা আরো বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রেখেছে অর্থ বিভাগ। তবে বৈদেশিক অনুদানসহ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল ৬১ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা, যা ছিল জিডিপির ৪.৫ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৭০ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করায় জিডিপির অনুপাতে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪.৬ শতাংশ।
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈদেশিক অনুদান মিলবে, এমনটি আশা করে বাকি ৮০ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা ঘাটতি অর্থায়নে নতুন অর্থবছরে বরাবরের মতোই দেশি-বিদেশি ঋণের ওপর ভর করেছে সরকার। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৫৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এই টাকার মধ্যে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে ২৪ হাজার ১৮২ কোটি ও স্বল্প মেয়াদে ১৪ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে।
নতুন অর্থবছরে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণের বাইরে মোট ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ বিভাগ। এর মধ্যে জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং সরকারি হিসাবের হ্রাস-বৃদ্ধি (সঞ্চয়পত্রের হ্রাস-বৃদ্ধি বাদে) থেকে তিন হাজার কোটি টাকা নেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা ও অন্যান্য উৎস থেকে তিন হাজার কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে বছরজুড়ে ব্যাংকে আমানতের সুদের পতন হয়। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের সুদ অপরিবর্তিত থাকায় সঞ্চয়পত্র থেকে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণেরও বেশি, অর্থাৎ ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা সংশোধিত বাজেটে বলা হয়েছে। তবে অন্যান্য উৎস থেকে ঋণের পরিমাণ এক হাজার কোটি কমিয়ে দুই হাজার কোটি নির্ধারণ করা হয়েছে।
দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেটে উন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দ এক লাখ দুই হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯৭ হাজার কোটি টাকা। তবে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া আছে তিন হাজার ৯৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সিটি করপোরেশনের নামে এই বরাদ্দসহ এডিপিতে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৯৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তবে এডিপির বাইরেও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে তিন হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আর কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। কাবিখা এক ধরনের উন্নয়ন কর্মসূচি হলেও তা এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত নয়। এ ছাড়া রাজস্ব বাজেট থেকে অর্থায়নকৃত উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ৬৩৩ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে বরাদ্দ ছিল ৮৬ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে এডিপিতে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি, এডিপি-বহির্ভূত প্রকল্পে তিন হাজার ৪৬৯ কোটি, কাবিখায় এক হাজার ৪৯৩ কোটি এবং রাজস্ব বাজেট থেকে অর্থায়নকৃত উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৬৮ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে ৮০ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে এডিপিতে ৭৫ হাজার কোটি, এডিপি-বহির্ভূত প্রকল্পে তিন হাজার ৩১৭ কোটি, কাবিখায় এক হাজার ৩৭৩ কোটি এবং রাজস্ব বাজেট থেকে অর্থায়নকৃত উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৭৮৬ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বড় বাজেটের বড় অংশই ব্যয় হবে সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য অনুন্নয়নমূলক কাজে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা। তবে এই অনুন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে সরকারের সম্পদ সংগ্রহ, ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ ও পূর্তকাজ, শেয়ার ও ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এটি ছিল এক লাখ ৫৪ হাজার ২৪১ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এটি কমিয়ে এক লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন অর্থবছরে অনুন্নয়ন খাতে ব্যয়ের জন্য রাখা এক লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকার মধ্যে অনুন্নয়ন রাজস্ব ব্যয় হবে এক লাখ ৬৪ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ। চলতি অর্থবছর বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ ছিল প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে মূল বেতন বাবদ ১৪ হাজার কোটি টাকা ও ভাতা বাবদ ১৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করছে সরকার। সে জন্য অতিরিক্ত ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হচ্ছে এ খাতে।
এ ছাড়া অনুন্নয়ন খাতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ৩৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা যাবে শুধু সরকারের নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধেই। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রসহ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া ঋণের সুদ ৩৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা, আর বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে লাগবে এক হাজার ৭১৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ ২৯ হাজার ৩০৫ কোটি ও বৈদেশিক ঋণের সুদ এক হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ ঋণে ২৮ হাজার ১৮৭ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণের সুদে এক হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা করা হয়েছে।
এ ছাড়া নতুন অর্থবছরের বাজেটে অনুন্নয়ন মূলধন ব্যয় খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৯ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। এটি মূলত সরকারের বিভিন্ন সম্পদ সংগ্রহ, জমি অধিগ্রহণ ব্যয়, বিভিন্ন নির্মাণ ও পূর্তকাজ এবং সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মূলধন ও শেয়ার খাতে এ অর্থ ব্যয় হবে। এ ছাড়া খাদ্য হিসেবে ২২৭ কোটি টাকা এবং নিট ঋণ ও অগ্রিম খাতে সাত হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।