প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে চলে যাব। এটাই এখন আমাদের টার্গেট।’ এ সময় স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে-সেই ধারণাও দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
আজ সোমবার সকালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’ শীর্ষক আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এজন্য চারটি বিষয়কে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।’
সেগুলো হলো- ১. স্মার্ট সিটিজেন; অর্থাৎ প্রত্যেক নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবেন।
২. স্মার্ট ইকোনোমি; অর্থাৎ অর্থনীতির সব কাজই প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা হবে।
৩. স্মার্ট গভর্নমেন্ট; এটা ইতোমধ্যে অনেকটা করা হয়েছে, বাকিটাও করে ফেলা হবে এবং
৪. স্মার্ট সোসাইটি অর্থাৎ আমাদের সমাজটাই হবে স্মার্ট।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করা হয়েছে বলেই করোনাভাইরাসের সময় কোনো কাজ কিন্তু থেমে থাকেনি। আমার অফিস থেকে শুরু করে আদালত, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি অফিসসহ সবকিছু ভার্চুয়ালি চলমান ছিল।’
তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের টার্গেট স্মার্ট বাংলাদেশ। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিক হবে প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ এবং উপযোগী। প্রযুক্তি নির্ভর হবে আমাদের অর্থনীতির সব লেনদেন ও ব্যবহার। সরকারি সব সুযোগ সুবিধা ও কর্মকাণ্ড হবে প্রযুক্তনির্ভর। সর্বত্রই প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। অর্থাৎ আমাদের পুরো সমাজটাই হবে প্রযুক্তিবান্ধব।’
প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, পৃথিবীর আর কোনো দেশেই বোধ হয় এত সিম ব্যবহার হয় না। বাংলাদেশে ১৮ কোটি সিম ব্যবহার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের বেতন থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের উপবৃত্তি মায়েদের মোবাইল নফোনে চলে যায়। এই বৃত্তি দেওয়া শুরু হয় তখন ২০ লাখ মায়ের মোবাইল ফোন ছিল না। তাদের মোবাইল ফোন কিনে দিয়ে আমরা সেটা চালু করেছি।’
বয়স হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, ‘বয়স হয়েছে, যেকোনো সময় চলে যেতে পারি। তাই পরিকল্পনা করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর পথ পদর্শন করে যাচ্ছি। বেঁচে থাকলে বাস্তবায়ন করব, না হয় আমাদের তরুণরা করবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে জয় সিলিকন টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম ও সিনেপ্লেক্স এবং বরিশালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার মূলনীতি – প্রগতিশীল প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি শীর্ষক একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার (২০২২) এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২২ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্তিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।