২০১৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস আটকে গিয়েছিল রোমেরোর কাছে। আর ২০২২ এ সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শ্বাসরূদ্ধ ১২০ মিনিট শেষে ২০১৪ সালের পর আরও একবার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা।
অথচ ম্যাচের ৭৩ মিনিট পর্যন্ত দুই গোলে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তত শেষ দিকে এসে সে লিড খুইয়ে বসে আর্জেন্টিনা, যে কারণে খেলাটা এসে গড়ায় অতিরিক্ত সময়, আর পেনাল্টি শুট আউটে। সেই টাইব্রেকারেও আরেকটু হলে পা হড়কে বসেছিল লিওনেল মেসির দল। তবে শেষ পর্যন্ত সে শঙ্কা কাটিয়ে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল লিওনেল স্কালোনির দল।
ব্রাজিলের ভাগ্যই বরণ করতে হতে পারত আর্জেন্টিনার। কিন্তু দলকে সেটা থেকে রক্ষা করেন আলবিসেলেস্তে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ডাচদের দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে শুরুতেই আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মার্টিনেজ। তৃতীয় শটে গোল পায় ডাচরা। আর্জেন্টিনা গোল পায় প্রথম তিন শটেই। কিন্তু এনজো ফার্নান্দেজ চতুর্থ শটটা বাইরে মারায় আবার জমে উঠে টাইব্রেকার।
ডাচরা চতুর্থ ও পঞ্চম দুটি শটেই গোল করে। ফলে লাউতারো মার্টিনেজের নেয়া পঞ্চম শটটা হয়ে উঠে ম্যাচের ভাগ্য-নির্ধারক। এবার আর ভুল করেন লাউতারো। তার শট নেদারল্যান্ডসের জালে যেতেই উচ্ছ্বাসে মাতেন মেসিরা। ৪-৩ ব্যবধানে জিতে আর্জেন্টিনা উঠে যায় সেমিফাইনালে। যেখানে মেসিদের প্রতিপক্ষ আগের ম্যাচে ব্রাজিলকে হারানো ক্রোয়েশিয়া।
নির্ধারিত সময়ে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকলেও যোগ করা সময়ের শেষ মুর্হূর্তে ভাউট ভের্গহর্স্টের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় নেদারল্যান্ডস। এতে করে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ায়।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমার্ধের ৩৫ মিনিটে মলিনা ও ৭৩ মিনিটে মেসির পেনাল্টিতে ২-০ লিড নেয় আর্জেন্টিনা। এরপর ৮৩ মিনিটের ও যোগ করা সময়ের (১১১ মিনিটে) গোলে সমতায় ফিরেছে ডাচরা। ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে।
এর আগে প্রথমার্ধেই লিওনেল মেসির জাদুকরী পাস থেকে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নিয়েছিলেন নাহুয়েল মলিনা। এবার দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজেই দলের লিডকে দ্বিগুন করলেন লিওনেল মেসি। এ গোল নিয়ে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মেসির গোল সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৪ এ। আর অ্যাসিস্ট গিয়ে দাঁড়ালো ২এ।
ডাচদের খেলার ধরনের কথা মাথায় রেখে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি একাদশে বড় পরিবর্তন আনেন। আজ লুসাইল স্টেডিয়ামের স্কালোনি নামান তিন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। সেই সঙ্গে বদলে দেন খেলার ফরমেশনও। সাধারণত আর্জেন্টিনা ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেললেও বর্তমানে ৩-৫-২ এ খেলছে। একজন ফরোয়ার্ড কম নিয়ে মাঠে নেমেছে আলবিসেলেস্তেরা।
দুই সেন্টার ব্যাক ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো ও নিকোলাস ওটামেন্ডির সঙ্গে রয়েছেন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। ফুল ব্যাক হিসেবে খেলছেন মার্কোস আকুনা ও নাহুয়েল মলিনা। মাঝমাঠে ডি পলের সঙ্গী হিসেবে আছেন এনজো ফার্নান্দেজ ও আলেক্সিস অ্যালিস্টার। আক্রমণভাগে স্কালোনি রেখেছেন দুইজন। অধিনায়ক লিওনেল মেসির সঙ্গে রয়েছেন জুলিয়ান আলভারেজ।