বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টির দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ মানুষের জীবনের প্রতি খুব কমই গুরুত্ব দেয় এবং এই বার্তা দেয় যে যারা মানবাধিকার চর্চা করতে সাহস দেখাবে, তাদের ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক ইয়ামিনি মিশ্র বলেন, বড় ধরনের বিক্ষোভ মোকাবিলার সময় বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমরা উদ্বেগজনকভাবে কর্তৃপক্ষের দমন-পীড়ন বাড়তে দেখেছি। কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক কর্মীদের গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে, আগামী বছরের সংসদ নির্বাচনের আগে সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করছে। এতে আমরা গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। প্রত্যেকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শন করা অপরিহার্য। দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সভা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারসহ জনগণ তাদের অধিকার সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করতে পারে, এমন নিশ্চয়তা থাকতে হবে।’
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে দমনমূলক পদক্ষেপের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দায়মুক্তির অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইয়ামিনি মিশ্র। পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অবিলম্বে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও কার্যকর তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের খবরে উদ্বেগ জানিয়েছেন সভা-সমাবেশের অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ক্লেমেন্ট ভউল। বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঘটনাগুলোর ওপর বিশেষ নজর রাখছেন তিনি। বিশেষ করে এ বছরের জুলাই মাস থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হামলা এবং মৃত্যু ঘটানোর মতো প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের উদ্বেগজনক খবর আসার পর থেকে তিনি বাংলাদেশের ঘটনাবলি অনুসরণ করছেন।