নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষা শেষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনে যোগ দিতে সকাল থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও মহানগর ইউনিটের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে দলে দলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট দিয়ে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করছেন। বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে সম্মেলনস্থলে।
সম্মেলনে যোগ দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। উদ্যানের গেটগুলোতে হিউম্যান স্ক্যানার বসানো হয়েছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে সম্মেলনস্থলে।
সম্মেলনস্থল থেকে ঘোষণা করা হতে পারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নাম।
এবার ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৫৪ জন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন সভাপতি ও ১৫৮ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের সম্মেলনে মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনে থাকতে পারে একাধিক চমক। পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা ভালো, ত্যাগী, ক্লিন ইমেজ এবং যাদের পরিবারের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, তারাই আগামীর নেতৃত্বে আসবে।