ঢাকা: আলোচিত রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে রোববার (৩১ মে)।
দুই মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা ও তার বাবা-মাসহ মোট ৪২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দু’টি দিচ্ছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর মধ্যে দণ্ডবিধির মামলায় ৪১ জন ও ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় ১৮ জন আসামি হচ্ছেন।
মাহবুবুল আলম নামক একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে দণ্ডবিধির মামলায় আসামি করা হচ্ছে না। ফলে দু’টি মামলা মিলিয়ে আসামি হচ্ছেন মোট ৪২ জন। দুই মামলায় মোট সাক্ষী করা হচ্ছে ৭৫০ জনকে।
বিষয়টি ব নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি বিজয় কৃষ্ণ কর।
তিনি বলেন, চাঞ্চল্যকর রানা প্লাজা ধসের ঘটনা তদন্ত করে আমরা সফলতার সঙ্গে শেষ করেছি।
তিনি বলেন, রোববার (৩১ মে) বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দু’টির চার্জশিট দাখিল করা হবে।
সোহেল রানা, তার বাবা ও মাসহ মোট ৪২ আসামির নাম উল্লেখ করে এই চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। আসামির তালিকায় আরও থাকছেন ১২ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাভার পৌরসভার মেয়র, রানার অনুগত বাহিনীর সদস্য এবং তাকে পালাতে সহায়তাকারীরা।
মামলা দু’টির আসামিদের মধ্যে রানাসহ চারজন ছাড়া সব আসামি জামিন নিয়ে কারাগারের বাইরে রয়েছেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে ৯তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়লে হাজারের বেশি শ্রমিক মারা যান। আহত হন সহস্রাধিক। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ। পরে মামলাটিতে অপরাধজনক প্রাণনাশেরও অভিযোগ আনা হয়। সোহেল রানাসহ ২১ জনকে আসামি করা হয় এ মামলায়।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
ইমারত বিধি মেনে রানা প্লাজা নির্মাণ করা হয়নি- এমন অভিযোগে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করেন রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল আহমেদ। রানাসহ ১৩ জন আসামি হন এ মামলায়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এ মামলায় আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড হতে পারে।