মাঠে নেমেই রেকর্ড গড়েছিলেন লিওনেল মেসি। পেশাদার ফুটবলে সব মিলিয়ে ১০০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। আর মাইলফলক ম্যাচটি দারুণভাবে রাঙালেন বিশ্বসেরা তারকা। কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচে দলের প্রথম গোলটি এনে দেন মেসিই। এ জয়ে আসরের শেষ আট নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার হয়ে আরও একটি গোল করেন হুলিয়ান আলভারেজ। আর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটি গোল শোধ করেন ক্রেইগ গুডউইন।
শনিবার রাতে আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমার্ধ এলোমেলো খেললেও বিরতির পর একের পর এক আক্রমণ করে প্রতিপক্ষকে ব্যস্ত রাখে আর্জেন্টিনা।
খেলার ৩৫তম মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মেসি বক্সের বাইরে থেকে ম্যাক আলিস্টারের দিকে বল বাড়ান। তিনি নিকোলাস ওতামেন্দির কাছে পাস দেন। পরে এই ডিফেন্ডার মেসির দিকে হালকা করে বল বাড়িয়ে দিলে নিচু শটে গোলটি উদযাপন করেন মেসি।
পেশাদার ফুটবলে ১০০০তম ম্যাচের মাইলফলকের দিন গোল করার কীর্তি গড়লেন মেসি। এছাড়া বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে প্রথমবারের মতো গোল পেলেন ৭ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। আর বিশ্বকাপে গোলের হিসেবে কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে গেলেন মেসি; তার গোল হলো ৯টি
বিরতির পর দ্রুতই ব্যবধান বাড়ায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে অস্ট্রেলিয়া গোলরক্ষকের ভুলে গোলটি করেন হুলিয়ান আলভারেজ। বল প্রথমে গিয়েছিল গোলরক্ষক ম্যাথিউ রায়ানের পায়ে, তবে ছুটে এসে তাকে চেপে ধরেন রদ্রিগো ডি পল। তার চাপেই রায়ান বলের নিয়ন্ত্রণ হারান। আর অন্য পাশ থেকে ছুটে আসা আলভারেজ বল পেয়েই সঙ্গে সঙ্গেই শট নিলে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে দর্শক বানিয়ে বলটা গিয়ে জালে জড়ায়।
তবে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে ব্যবধান কমায় অস্ট্রেলিয়া। ২৫ গজ দূর থেকে ক্রেইগ গুডউইনের ভলি বক্সের ভেতর থাকা এনজো ফের্নান্দেজের মুখে লেগে দিক বদলে জালে যায়। পুরো রক্ষণ তো বটেই, গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজও বোকা বনে যান।
এরপর আর্জেন্টিনা আক্রমণের ধার আরও বাড়ায়। একের পর এক সুযোগ তৈরি করে। অস্ট্রেলিয়াও দুই একটি সুযোগ পায়। তবে আর কোনো গোল হয়নি। শেষ অবধি ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্কালোনির শিষ্যরা।