রাজশাহীতে কানায় কানায় পূর্ণ গণসমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে হাজী মোহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের সমাবেশে যোগদান করেন তিনি। এর আগে শুত্রবার রাতেই ঢাকা থেকে রাজশাহীতে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব। রাত্রিযাপন করেন মহানগরের একটি হোটেলে।
এদিন দুপুরের দিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে সমাবেশস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনিও হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানান। এর আগে দুপুর না গড়াতেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠ, ঈদগাহ, পদ্মাপাড়সহ সড়কগুলো। বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে মাঠে জড়ো হন নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ মঞ্চে নেতাকর্মীরা। ছবি: আমাদের সময়
গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল মাহমুদ হাসান টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এ ছাড়াও রাসিকের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি এরশাদ আলী ঈশা।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লার পর আজ রাজশাহীতে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এটি বিএনপির নবম বিভাগীয় গণসমাবেশ। এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই গণসমাবেশ শুরু হয়। মঞ্চে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য রাখা হয় দুটি আসন।
নেতাকর্মীদের একাংশ। ছবি: আমাদের সময়
এদিকে সমাবেশকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলায় পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এসব জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা পথে পথে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। বাস বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে বিকল্প উপায়ে রাজশাহীতে এসেছেন তারা। এমনকি বিভাগীয় সমাবেশের আগের দিন থেকে রাজশাহীতে পরিবহন ধর্মঘটের পাশাপাশি সিএনজি-অটোরিকশা ধর্মঘটেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
অপরদিকে গণসমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায় নেই ইন্টারনেট সংযোগ। এতে বিপাকে পড়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তারা সমাবেশস্থল থেকে কাজ করতে পারছেন না। বাইরে গিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করতে হচ্ছে। সকালের দিকে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক থাকলেও সকাল ১০টার পর তা উধাও হয়ে যায়।
গণসমাবেশের মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছিলাম ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য। সব প্রস্তুতিও শেষ হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।’