পাকিস্তানের সন্ত্রাসীরা কিছুতেই যেন দেশটির ক্রিকেটের পেছন ছাড়ছে না। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের বাসের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর ৬ বছর পাকিস্তানে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিটেট দল সফর করেনি। কিন্তু অনেক তেল-নুন খরচ করে জিম্বাবুয়েকে দেশের মাটিতে এনেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার সাহস দেখিয়ে পাকিস্তানে সফর করেছেন। পাকিস্তান সরকার কঠোর নিরপত্তা দিচ্ছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলকে। দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে কোনো ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। কিন্তু এক পুলিশ সদস্যের জীবনের বিনিময়ে বড় ধরণের দুঘটনা থেকে বেঁচেছে পাকিস্তান। গতকাল পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ের মধ্যে দিবারাত্রির ওয়ানডে ম্যাচ চলছিল। রাত ৯ টার দিকে হঠাৎ স্টেডিয়ামের বাইরে বিকট শব্দে কিছু একটা বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিক পর্যায়ে সবাই ভয় পেয়ে যায়। কলমা চক এলাকায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে তখন দশকদের জানানো হয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সঙ্গে সঙ্গে এক বিবৃতির মাধ্যমে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে বৈদ্যুতিক টান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানায়। কিন্তু এমন লুকোচুরিতেও আসল খবর লুকানো যায় নি। আসলে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আক্রমণ থেকে বেঁচে গেছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও এদিন এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী শরীরে বোমা বেঁধে স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু স্টেডিয়ামের সামান দূরে কলমা চক এলাকায় এলে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে সে। এটা বুঝতে পেরে নিজেকেই উড়িয়ে দেয় আত্মঘাতী হামলাকারী। আর এতে একটি সিএনজি চালিত গাড়ী ও কয়েকটি প্রাইভেট কার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশের একজন সাব-ইনসúেক্টরসহ স্থানীয় একজন পথচারী ঘটনায় প্রাণ হারান। আহত কনে বেশ কয়েকজন। ঘটনার পর কোনো ওই স্থানে কোনো সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয় নি পুলিশ। এমন কি এখনও এটাকে বৈদ্যুদিক দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করছে তারা। সন্ত্রাসী হামলার কথা স্বীকার করে নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কিংবা পুলিশ। খবর দিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’ ও ‘জি নিউজ’।