চালের দাম বাড়তে থাকায় আমিষ খাওয়া কমিয়েছেন নিম্নবিত্তরা। আর নিত্যপণ্যের লাগামহীন দরে সংকুচিত হয়েছে মধ্যবিত্তের খাদ্য তালিকা। এমন তথ্য উঠে এসেছে বিআইডিএসের এক গবেষকের বিশ্লেষণে।
সাধারণ মানুষজন বলছেন, যে হারে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম সে হারে বাড়েনি ইনকাম। তাই জীবন এখন হাঁসফাঁস অবস্থা সবার। একজন ক্রেতা জানান, সকাল আটটা থেকে ওএমএসের চাল-আটা কিনার জন্যে দাড়িয়ে আছি। কেন এতো কষ্ট করি? আমি যেই বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। মাছ, মাংস খাওয়া তো বাদ দিয়েই দিয়েছি।
এমন প্রতিক্রিয়া যারা রাস্তায় একপ্রকার যুদ্ধ করে পণ্য কেনেন তারা দিয়েছেন। কিন্তু সুউচ্চ অট্টালিকার বাসিন্দা যারা তাদের জীবনে কি আঁচ পড়েছে দুর্মূল্যের এই অবস্থার?
এই যেমন গৃহিনী পুনম, চাকরিজীবী স্বামীর নির্ধারিত আয়ে বছর দুই আগে যেমন চলতো তাদের জীবন এখনও কি চলছে আগের গতিতে? এমন প্রশ্ন ছিলো তার কাছে। তিনি জানান, বাসা ভাড়া দিয়ে, বাচ্চার স্কুল খরচ দিয়ে প্রচুর হিমসিম খাচ্ছে আমার স্বামী। গরিব রাস্তায় নামতে পারে কিন্তু মধ্যবিত্তরা কি করবে?
বাসার গৃহকর্মী হেলেনা আগে প্রতি কাজের জন্য সাতশ টাকা নিলেও, এখন নিচ্ছেন হাজার টাকা করে। স্বামী স্ত্রী দুজনের আয়ে চার জনের পরিবারও এখন চলছে না আগের মতো। তিনি বলেন, আমার আয় ১০ হাজার আর আমার স্বামীর আয় ১০ হাজার। দু’জন ২০ হাজার আয় করলেও বাড়ি ভাড়া দিতে হয় ১৫ হাজার। বাকি ৫ হাজারে আমরা কি খাবো?
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির ফলে কি প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবনে। এ বিষয়ে সম্প্রতি গবেষণা করেছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের এর গবেষক ওয়াসেল বিন সাদাত। তিনি বলছেন, চালের দাম বাড়ায় মাছ মাংসের মতো খাবার কমিয়ে দিয়েছে মানুষ। যা নিম্নবিত্তের কাছে এখন বিলাসিতার মতো।
বিআইডিএসের এই গবেষক আরও বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক রাষ্ট্রের উচিত হবে অন্তত নিম্নবিত্তের জন্য স্বল্প মূল্যে চাল সরবরাহের পরিধি আরও বাড়ানো।