কাতার বিশ্বকাপের ‘এফ’ গ্রুপে বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়ার মতো দুটি বাঘা বাঘা দল ছিল। বেলজিয়ামের অবস্থান আবার ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দুইয়ে। এই গ্রুপ থেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছে মরক্কো। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) কানাডাকে তারা হারিয়েছে ২-১ গোলে।
গ্রুপ পর্বের সব কটি ম্যাচ শেষে মরক্কোর পয়েন্ট ৭। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছে লুকা মদরিচের ক্রোয়েশিয়া। এই গ্রুপ থেকে কানাডার পাশাপাশি বাদ পড়েছে বেলজিয়ামও।
আল থুমামা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ৪ মিনিটের মাথায় লিড পায় মরক্কো। এ সময় কানাডার রক্ষণ ভেঙে মুহূর্তের মধ্যে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান মরক্কোর হাকিম জিয়েখ। তার নেয়া শটে বল মিলান বরজানকে পরাস্ত করে কানাডার জালে ঢোকে।
কানাডা কয়েকটি আনকোরা সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলোকে গোলে পরিণত করতে পারেনি। উল্টো ২৩ মিনিটের সময় আরেকটি গোল হজম করে বসে দলটি। রাইটফ্লাঙ্ক থেকে আচরাফ হাকিমির ছুড়ে দেয়া বল পান ইউসেফ নেসিরি। রক্ষণভাগের এক খেলোয়াড়কে পরাস্ত করে তিনি গোলরক্ষক বরজানকেও বোকা বানান, মরক্কোর পক্ষে স্কোরলাইন তখন ২-০।
৪০ মিনিটে একটি গোল শোধ করে কানাডা। সেই গোলটিও অবশ্য আসে মরক্কোর প্লেয়ারদের ভুলে। কানাডা আক্রমণ শানালে নায়াফ আগার্দের ভুলে গোল খায় মরক্কো। বিরতির ঠিক আগে আরেকটি গোল করেছিল মরক্কো। কিন্তু রেফারি সেই গোল বাতিল করে দেন অফসাইডের কারণে।
পিছিয়ে থাকা কানাডা বিরতি থেকে ফিরে মরক্কোর ওপর চাপ তৈরি করে। ৫৮ মিনিটের সময় গোল পেয়ে যেতে পারত তারা। কিন্তু আলফন্সো ডেভিসের শটে বল চলে যায় পোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়ে। ম্যাচের শেষভাগে দুদলই একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনে। কিন্তু উভয় দলই আর কোনো গোল পায়নি।