জমে উঠেছে চলমান কাতার বিশ্বকাপ। ইতোমধ্যে গ্রুপ পর্বের আট দলের বিদায় ও আট দলের শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে গেছে। এবারের বিশ্বকাপকে ঘিরে সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ব্যবস্থা করেছে আয়োজক কাতার।
এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) এবং বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘আল রিহলা’। ভিএআর সিস্টেমের এর এবার আলোচনার বিশ্বকাপ বলের চার্জ দেয়ার বিষয়টি।
সাম্প্রতিক একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, মোবাইল, ল্যাপটপের মতোই ফুটবলটিকে চার্জ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রাখা অনেকগুলো বলকে একসঙ্গে চার্জ দিতে দেখা যায়। কেন এবারের বলে চার্জ দিতে হচ্ছে? রহস্যটি ঠিক কী?
বলের নির্মাতা কোম্পানি অ্যাডিডাস জানিয়েছে, এবারের বলগুলো অন্যবারের থেকে আলাদা। এ বলের ভেতরে সেন্সর বসানো আছে। ম্যাচের সময় সেসব সেন্সর থেকে প্রতি মুহূর্তে সার্ভারে পাঠানো হচ্ছে তথ্য। এই সেন্সর এতটাই শক্তিশালী যে, প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বার তথ্য পাঠাতে পারে। বলের সঙ্গে কোনও কিছুর স্পর্শ হলেই তার নির্ভুল তথ্য চলে যাচ্ছে সার্ভারে। সেই সেন্সরকে চালু রাখতে তার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ১৪ গ্রাম ওজনের একটি ব্যাটারি।
সেই ব্যাটারি সচল রাখতে ম্যাচের আগে তা চার্জ দেয়া হয়। একবার চার্জে ছয় ঘণ্টা চলে।
পর্তুগাল-উরুগুয়ের ম্যাচে সেন্সর থাকার গুরুত্ব বোঝা যায়। যেখানে রোনালদোর একটি গোল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রোনালদোর দাবি, তার মাথা ছুঁয়েই বল জালে ঢুকেছে। কিন্তু অন্যরা বলছেন, গোলের মালিক ব্রুনো ফার্নান্দেজ। এতে রোনালদোর কোনও অবদান নেই। বিতর্কের অবসানে একসময় বলের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, রোনালদোর সঙ্গে বলের কোনও স্পর্শই হয়নি।
বল প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাডিডাস বলছে, আমাদের প্রযুক্তি বলছে, ওই সময় রোনালদোর কোনও স্পর্শ লাগেনি বলে। বল গোলের দিকে যাওয়ার সময় যে স্পন্দন আমরা দেখেছি, তা থেকে আমরা বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি।
সূত্র : মার্কা, স্পোর্টস বিবলে ও ডেইলি মেইল