স্পেনের বিপক্ষে জার্মানির ম্যাচটি ছিল ডু অর ডাই। হারলেই বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ মঞ্চ থেকে। কিন্তু এমন ম্যাচে জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। স্পেনের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। এতে করে এখনো টিকে আছে নকআউট পর্বে খেলার স্বপ্ন। শেষ ম্যাচে জার্মানি কোস্টারিকার বিপক্ষে জয় পেলে আর স্পেন তাদের শেষ ম্যাচে জাপানকে পরাজিত করলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে নকআউট নিশ্চিত করবে।
অথচ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোনো দল। তবে সুযোগ তৈরি করেছে দু’দলই। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে এগিয়েছে লড়াই। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে অলমোর দূরপ্রান্তের শটে আলতো টোকা দেন জার্মানির গোল রক্ষক ম্যানুয়েল নুয়্যার। তার হাত ছুঁয়ে বল গোলপোষ্টে লেগে ফিরে আসে। ৩২ মিনিটে তোরেস ন্যুয়ারকে একা পেয়েও আলভার ক্রস থেকে গোল করতে পারেননি। অবশ্য গোল করলেও তা বাতিল হতো অফসাইডে।
তবে সবচেয়ে বড় সুযোগটি পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন জার্মানির রুডিগার। ম্যাচের ৩৯ মিনিটের সময় কিমিখের ফ্রিকিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেছিলেন রুডিগার। কিন্তু সামান্যতম অফসাইডে বাতিল করা হয় তার গোল।
বিরতি থেকে ফিরে খেলায় গতি বাড়ায় জার্মানি ও স্পেন দুদলই৷ ৫৭ মিনিটে উনাই সিমন ভুল পাস দিয়ে বসেন কিমিচের কাছে। তার শট দেখা পায়নি গোলের। ৬২ মিনিটে স্পেনকে এগিয়ে দিয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় আলভারো মোরাতা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বদলি নেমে গোল পেলেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। বাঁ প্রান্ত থেকে জর্দি আলবার পাস খুঁজে নেয় মোরাতাকে। ডান পায়ে ফ্লিকে বল জালে পাঠাতে ভুল হয়নি তাঁর।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে কখনো টানা দুই ম্যাচ না হারা জার্মানি ৭৫ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পায়। কিন্তু মুসাইলার শট দারুণভাবে রুখে দেন উনাই সিমন। ৮৪ মিনিটে জার্মানিকে সমতায় ফেরান ফুলক্রুগ। জামাল মুসাইলার পাস থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের সামান্য ভেতর থেকে দারুণ শটে পরাস্ত করেন উনাই সিমনকে। শেষের দিকে গোলের আরো চেষ্টা করলেও গোল পেতে ব্যর্থ হয় জার্মানি। ফলে ১-১ গোলের সমতায় থেকেই ম্যাচ শেষ করে তারা।
এ ম্যাচে জার্মানি হারলে ২০১৪ আসরের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিত। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে হয়নি।
এই ড্রতে জমে উঠল ‘ই’ গ্রুপের হিসাবনিকাশ। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে স্পেনই শীর্ষে। সমান ৩ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে দুই ও তিনে জাপান ও কোস্টারিকা। প্রথম পয়েন্ট পাওয়া জার্মানি তলানিতে থাকলেও সুযোগ আছে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার।