কোনোভাবেই আমরা বেল হরিজন্তেরর মাঠের কথা মনে করতে চাই না। কাতারে আসা ব্রাজিলের সাংবাদিকদের সাথে বেল হরিজন্ত মাঠের প্রসঙ্গ তুললেই তাদের এই জবাব। কারণ এই বেল হরিজন্ত মাঠেই ২০১৪ বিশ্বকাপের স্বাগতিক ব্রাজিলের সর্বনাশ হয়েছিল।
জার্মানির কাছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ১-৭ গোলে হার। সেলেসাওদের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম দুঃখজনক হারের একটি নেপথ্য সে ম্যাচে ছিলেন না তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়র। আগের ম্যাচে কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার জুনিগোর মারাত্মক ফাউলের শিকার হয়ে সেই বিশ্বকাপই শেষ হয়ে যায় নেইমারের। সাথে যোগ হয় ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভার অনুপস্থিতি। যার জের টানতে হয়েছিল হাফ ডজন বেশি গোলের ব্যবধানে হেরে। ২৪ নভেম্বর সার্বিয়ার বিপক্ষে আবার বিশ্বকাপের ম্যাচে ইনজুরিতে পড়া পিএসজির এই তারকার। ফলে গ্রুপে শেষ দুই ম্যাচে খেলা হবে না তার। এখন পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা কী পারবে নেইমারের অনুপস্থিতির এই অভাব পূরণ করতে! যদি না হয় তাহলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ খেলা হয়ে যাবে নেইমারের।
উল্লেখ্য, ব্রাজিলের পরের দুই ম্যাচ আগামীকাল সুইজারল্যান্ড এবং ২ ডিসেম্বর ক্যামেরুনের বিপক্ষে।
৮ বছর আগের সেই বাজে হারে সাথে ব্রাজিলের এবারের ইনজুরিরর দারুন মিল। এবার গ্রুপের পরের ম্যাচের জন্য স্টপার ব্যাক থিয়াগো সিলভা ফিট থাকলেও নেই রাইট ব্যাক দানিলো। ইনজুরর জন্য তিনিও মিস করছেন গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচ। ফলে সার্বিয়ার বিপক্ষে দারুন গতি ও নান্দনিক ম্যাচ উপহার দিয়ে জয় পাওয়া দলটির জন্য দুই ফুটবলারকে হারানোটা বিশাল একটা ধাক্কা। এমনিতেই ইনজুরির জন্য দলের সাথে কাতারে আনতে পারেননি লিভারপুলে খেলা আর্তুর মেলোকে। এখন মিস নিয়মিত একাদশের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার।
নেইমারকে ছাড়াই ব্রাজিলেও অবশ্য ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব আছে। যা ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা। ইনজুরির জন্য সে আসর মিস করেন তিনি। সেই আসরে নেইমারকে ছাড়াই সেমিতে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল তিতের দল ব্রাজিল। তা সেই বেল হরিজন্তের মাঠে। তবে সেটা ছিল দক্ষিণ আমেরিকা চ্যাম্পিয়নশিপ বা কোপা অমেরিকা। আর এটা বিশ্বকাপ। নেইমার ব্রাজিলের আক্রমনভাগের মধ্যমনি। সাথে রিচার্লিসন ও ভিনিসিয়স জুনিয়র। এখন নেইমারের বিকল্প হিসেব দায়িত্বিটা বেড়ে গেছে সার্বিয়ার বিপক্ষে অসাধারণ এক সাইড ভলিতে গোল করা রিচার্লিসনের। গ্যাব্রিয়েল জেসুসকেও ত্রানকর্তা হতে হবে। রাশিয়া বিশ্বকাপে জেসুস ছিলেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র নাম্বার ৯, যার কোনো গোল ছিল না।
ব্রাজিল দল এবং তাদের সারা বিশ্বের শত কোটি দর্শকরা চাইবেন নেইমারকে ছাড়াও যেন দলটি গ্রুপ পর্ব টপকাতে পারে। তাহলে নেইমারের গতির আক্রমন আর দৃষ্টিনন্দন পায়ের কাজ দেখার সুযোগ হবে।