কাতারের অ্যাডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল উরুগুয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়া। খেলাটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
প্রথমার্ধের শুরুর দিকে বল নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল দক্ষিণ কোরিয়াই। কিন্তু ১০ মিনিট পর থেকে ম্যাচে আধিপত্য দেখাতে শুরু করে উরুগুয়ে। আক্রমণ-পালটা আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। ম্যাচের ২২ মিনিটে ডান দিক থেকে বাড়ানো বলে খালি পোস্ট সামনে পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি ডারউইন নুনেজ। ২৬ মিনিটের মাথায় আক্রমণে যান হিউং মিন সন। কিন্তু উরুগুইয়ান ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করেন। এরপর আবারো আক্রমণে যায় উরুগুয়ে। কিন্তু কিম সেউইংগুয়ে দারুণ সেইভ করেন। বারবার আক্রমণে গিয়েও কোরিয়ান এই গোলকিপারকে পরাস্ত করতে পারেনি ভালভার্দেরা।
তবে ম্যাচের ৩৪ মিনিট সময়ে গোলপোস্টের কাছ থেকে একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে কোরিয়া। ডান দিক থেকে বাড়ানো বলে শট নেন কোরিয়ার স্ট্রাইকার ইউই-জো। কিন্তু গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায় ইউই-জোর শটটি।
বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়েও। ভালভার্দের কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেছিলেন উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার দিয়েগো গডিন। কিন্তু সেই বল গোলবারে লাগলে সুন্দর একটি গোলের সুযোগ নষ্ট হয়। প্রথমার্ধে একটি শটও অন টার্গেটে নিতে পারেনি কোরিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে হিউং মিন সানের দল। কোরিয়ার হাই প্রেসিং-এর সাথে তাল মেলাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিল উরুগুয়ে। ৬৪ মিনিটের মাথায় ডিবক্সে বল নিয়ে গেছিলেন বটে নুনেজ, তবে তিনি শট নেয়ার আগেই বল কুড়িয়ে নেন কিম সেউইংগুয়ে। ৭০ মিনিট থেকে উরুগুয়ে বলের দখল ফিরে পেতে শুরু করলেও নিজেদের রক্ষণভাগ দারুণভাবে সামলে রাখে দ: কোরিয়া। ৮১ মিনটের মাথায় কাভানি নুনেজকে আরো একটি গোলের সুযোগ তৈরি করে দিতে চাচ্ছিলেন বটে কিন্তু এবারেও শট অন টার্গেট রাখতে ব্যর্থ হন নুনেজ।
খেলার নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গিয়েও লড়াই চালিয়ে গেছে দুদল। ৯০ মিনিটের মাথায় লং রেঞ্জ থেকে শট নেন ভালভার্দে। সেটিও বারপোস্টে লাগলে হতাশা ফুটে ওঠে খেলোয়াড়দের অভিব্যক্তিতে। কয়েক সেকেন্ড পরেই রোশেটের পাস থেকে একটি শট নেন সন। তার শটটিও বেরিয়ে যায় বারের ডানপাশ দিয়ে। একই ম্যাচে দুবার বল বারপোস্টে না লাগলে হয়ত আজ এগিয়ে থেকেই ম্যাচ শেষ করতে পারত উরুগুয়ে।
দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে গোলশূন্য ড্র হয়েছে ম্যাচটি। এটি এ বিশ্বকাপের চতুর্থ গোলশূন্য ড্র।