আলো জ্বলে ওঠল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল। কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকলেও, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাতিয়ে দিলো তারা। দেয়া হলো ঐক্যের বার্তা, দেয়া হলো সাম্যের বার্তা। ফুটবলই যে দুনিয়াকে এক করতে পারে, সেই বার্তা বারে বারে উঠে এলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মাঠে গড়ায় কাতারের ফুটবল বিশ্বকাপ। স্বাগতিক কাতার আর ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় বিশ্বকাপ আসর।
আল বায়াত স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছে বর্ণিল এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সেখানে শুরুতেই পারফর্ম করেছেন কাতারের আঞ্চলিক শিল্পীরা। নাচ-গান এবং ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তারা তুলে ধরতে চেয়েছেন উপসাগরীয় দেশটির সংস্কৃতি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল আল বায়াত স্টেডিয়ামের বাইরে। হলুদ জার্সি এবং পতাকা নিয়ে সোল্লাসে স্টেডিয়ামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইকুয়েডরের সমর্থকরা। অন্য প্রান্ত থেকে এগিয়ে আসছিলেন সাদা এবং সবুজ জার্সি পরিহিত কাতার সমর্থকরা। নাচগান, ঢাকঢোলের শব্দের মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যায়, বিশ্বকাপ শুরু হতে আর দেরি নেই।
নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরেই শুরু হল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রথমেই দেখা যায় কাতারের শাসক শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুম। প্রথমে গানের অনুষ্ঠান হয়। তার পরেই বিশ্বকাপে ঐক্যের বার্তা শোনাতে শোনাতে হাজির হন হলিউডি অভিনেতা মর্গ্যান ফ্রিম্যান। তার সাথে মঞ্চে প্রবেশ করে কাতারের বিশেষভাবে সক্ষম ঘানেম আল-মুফতাহ।