দেশে এখন আমনের ভরা মৌসুম। কিন্তু তারপরও বাজারে বেড়ে চলছে চালের দাম। যার সদুত্তর নেই কারো কাছে। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে মিনিকেটের দর। যার প্রভাব পড়েছে অন্য চালেও। এদিকে আটা-ময়দার বাড়তি দরে স্বস্তি মিলছে না লবণেও।
নাটোরের কৃষক মুজিবুরের নতুন পরিচয় এখন দিনমজুর। এ মৌসুমে ধান চাষ করে লাভ তো বহু দূরে, উঠেনি উৎপাদন খরচটাও। তাই সংসার চালাতে ৩ দিন ধরে তার ঠিকানা ঢাকায়।
তিনি বলেন, ‘কৃষি কাজে আলু, তরিতরকারির কাজে মনে করেন এসবের যেই খরচটা আচিলো, করোনা ছিল। এ সমস্যাগুলোর মাঝে দিয়া কাজ নাই। সংসারে শর্ট পরে গেচে। এখন কাজের জন্য আসছি কেউ নিতে চায় না।’
ধান চাষ করে মুজিবুরের পেট না চললেও ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার। আঠাশের পর বেড়েছে মিনিকেটের দামও। ভালো মানেরটা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮০ টাকারও বেশি দরে। যার দায় মিলারদের ওপর চাপালেন খুচরা বিক্রেতারা।
এক বিক্রেতা জানান, আমরা দেই পাইকারিদের দোষ, তারা বলে মিলাররা দাম বাড়াইছে, এভাবে কাদা ছুড়াছুড়ি করছেন তারা।
দীর্ঘদিন ধরেই বাজারে মিলছে না সরকার নির্ধারিত মূল্যের চিনি। নতুন করে যোগ হয়েছে লবণের বাড়তি দর। এদিকে আরেক দফা বেড়েছে আটা-ময়দার দাম।
এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, ‘সরকারের রেট করা চিনির দাম, আর আমাদের কেনা রেটের সঙ্গে কোনো মিল নেই। তাই ভোক্তা অধিকার জরিমানা করায় আমি আর চিনি রাখি না।’
অন্য বিক্রেতা জানান, লবণের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। আগে ৩৫ টাকা ছিল। এখন ৪০ টাকা। এজন্য ক্রেতাদের কাছে কথা শুনতে হয় আমাদের।
বাজারে এমন অরাজকতার মাঝেই ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।