দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোয় নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন গ্রহণ আজ বুধবার থেকে শুরু হবে। এ দিন বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পাবেন প্রার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করা যাবে। ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি এবং ১৩ ডিসেম্বর বেসরকারি স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে ভর্তির লটারি। ২০২৩ সালে প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় বছরের বেশি। এসব তথ্য জানিয়ে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৬ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত http://gsa.teletalk.com.bd সাইটে প্রবেশ করে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ভর্তির জন্য কোনো ফরম বিতরণ করা হবে না। ভর্তি আবেদন ফির ১১০ টাকা শুধু টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
সরকারি স্কুলে ভর্তি : ঢাকা মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো (৩টি ফিডার শাখাসহ) তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে ৫টি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এ ছাড়াও সারাদেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের জন্য থানাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবেন। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বেসরকারি স্কুলে ভর্তি : ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ ৩টি থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে। এ ছাড়া প্রার্থীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সময় মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় বা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত ভর্তি কমিটির মাধ্যমে লটারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন করে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করতে হবে। ঢাকা মহানগরী ছাড়া কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ার বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত (ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী) ভর্তি কমিটির প্রতিনিধির উপস্থিতিতে লটারি কার্যক্রমের আয়োজন করতে হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।
আবেদন ফরম পূরণ যেভাবে : নির্ধারিত ওয়েবসাইট http://gsa.teletalk.com.bd -এ প্রবেশ করে আবেদন সাবমিট করলে প্রার্থীরা একটি ইউজার আইডি পাবেন। সেই ইউজার আইডি ব্যবহার করে টেলিটক প্রিপেইড নম্বরের মধ্যেমে এসএমএসে ফি দেওয়া যাবে ৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। যেসব প্রার্থী বিভিন্ন কোটায় আবেদন করবেন, তাদের কোটার বিষয়টি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। না হলে কোটা বিবেচনা করা সম্ভব হবে না। আবেদনপত্রে প্রার্থীদের রঙিন ছবি (দৈর্ঘ্য ৩০০ প্রস্থ ৩০০ পিক্সেল) স্ক্যান করে জেপিইজি ফরমেটে নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে হবে। নির্ভুলভাবে আবেদন সম্পন্ন হলে আবেদনকারী ইউজার আইডি ও ছবিসহ অ্যাপ্লিক্যান্ট কপি পাবেন। অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট বা ডাউনলোড কপি ভর্তি সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে সহায়ক হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে।
ফি জমা : আবেদন সাবমিট করে প্রার্থীদের পাওয়া ইউজার আইডি দিয়ে টেলিটকের প্রিপেইড নম্বর থেকে দুটি এসএমএস পাঠিয়ে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। এ জন্য প্রথমে মোবাইলে এসএমএস অপশনে গিয়ে এঝঅ লিখে স্পেস দিয়ে ইউজার আইডি লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। ফিরতি এসএমএসে শিক্ষার্থীর নামসহ একটি পিন নম্বর পাওয়া যাবে। যা দিয়ে দ্বিতীয় এসএমএস করতে হবে। দ্বিতীয় এসএমএস পাঠাতে এসএমএস অপশনে গিয়ে এঝঅ লিখে স্পেস দিয়ে ণঊঝ লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। আবেদনের সব অংশ পূরণ করে জমা দিলেও ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন গৃহীত হবে না। ইউজার আইডি বা পিন ভুলে গেলে তা এসএমএসের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা যাবে।