ঢাকা: আগামী তিন-চার বছরে চীনে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি দুই বিলিয়ন ছাড়াবে বলে জানিয়েছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৬ মে) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়ানডংয়ের উপস্থিতিতে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় চীনের ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ বাংলাদেশের বিশেষ শিল্পাঞ্চল ব্যবহার করে এদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানান বাণিজ্য মন্ত্রী। এছাড়াও চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য চীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম ব্যবসায়ী অংশীদার। দেশটি বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর কথার প্রেক্ষিতে লিউ ইয়ানডং বলেন, দক্ষিণ-এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ চীনের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। গতবছর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। ৯০টিরও বেশি চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান ১৭ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত দুই দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছি। সার্বিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গভীরতর করা, পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা জোরদার করা, ঐতিহাসিক মৈত্রী সুসংহত করা, বাস্তবিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক কল্যাণ বাস্তবায়নের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় চীনকে সমর্থনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। দু’দেশের মানুষের প্রচেষ্টা দিয়ে একসঙ্গে স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করতে হবে।
তিনি আরও জানান, চীন যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং একবিংশ শতাব্দীর সহযোগিতা প্রস্তাব দিয়েছে তাতে ৬০টিরও বেশি দেশ এবং আঞ্চলিক সংস্থা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়নের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
এ সময় বাংলাদেশি একশ’ শিক্ষার্থীকে চীনা একটি ক্যাম্পে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের জন্য এক হাজার চীনা বই প্রদানের ঘোষণা দেন চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের সঙ্গে দেশের যোগাযোগ নির্ভর করে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ওপর। ভাষা হলো সংস্কৃতির ধারক ও যোগাযোগের মাধ্যম। একটি নতুন ভাষা জানা মানে নতুন করে বন্ধুত্ব করা। ভবিষ্যতে চীনেও বাংলা ভাষা চালু হবে বলে জানান তিনি।