চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় রক্তে শর্করার (ব্লাড সুগার) মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বলা হয় ‘হাইপারগ্লাইসেমিয়া’। এই সমস্যার পরিণতিতে দেখা দেয় ডায়াবেটিস। আর তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে অজস্র রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।
চিকিৎসকদের মতে, ব্লাড সুগার বাড়ার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। চোখ, কিডনি, লিভার, হার্ট ও পায়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, দৈনন্দিন জীবনের কিছু কর্মকাণ্ডে অজান্তেই রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে।
ব্রেকফাস্ট না করা: সকালের নাস্তা অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। সিডিসি বলছে, সকালের খাবার বাদ দিলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে।
কফি পান: কফি অনেকেরই প্রিয়। এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। তবে সিডিসি বলছে, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কফি পানে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত কফি এড়ানো। এমনকি চিনি ছাড়া কফিও এড়ানো উচিত।
সানবার্ন: খুব বেশি রোদ গায়ে লাগানোর ফলেও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সিডিসির তথ্যমতে, সানবার্নের কারণে ব্যথা হতে পারে, যার কারণে স্ট্রেস বাড়ে, এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়ে।
অপর্যাপ্ত ঘুম: সুস্থ শরীর ও মনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। সিডিসি বলছে, ঠিকমতো ঘুম না হলে বা ঘুমের অভাবের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।
কৃত্রিম মিষ্টি গ্রহণ: কৃত্রিম সুইটনারগুলোকে পরিশোধিত চিনির চেয়ে ভালো বলা হয়। তবে সিডিসি বলছে, কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম মিষ্টি রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে। এ বিষয়ে আরো বিশদ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে অভিমত সিডিসির।
মাড়ির রোগ: মাড়ির রোগ রক্তে শর্করা বাড়ানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিসজনিত জটিলতাও সৃষ্টি করতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি পান না করা: সিডিসির তথ্যমতে, শরীরে কম পানি মানে আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি।