নিত্যপণ্যের বাজারে যেন কাটছেই না অস্থিরতা। আটা-ময়দার বাড়তি দাম তো আছেই, সঙ্গে যোগ হয়েছে চিনির কৃত্রিম সংকট। লবণের দরও বেড়েছে এক দফা।
তবে কিছুটা স্বস্তি ডিম আর মুরগির বাজারে। নিত্যপণ্যের বাজারে দাম নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড মেনে নেয়া ছাড়া যেন কিছুই করার নেই।
যুদ্ধ ও সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বেড়েই চলেছে আটা-ময়দার দাম। সামনে আবারো বাড়ার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের। চিনি কিছুটা মিললেও বাজারজুড়ে কৃত্রিম সংকটের ছাপ স্পষ্ট। লবণের মূল্য আবারো বাড়ার কানাঘুষাও কম নয়।
ক্রেতাদের দাবি, সরকার থেকে নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারিত করে দেয়া দরকার। যাতে কেউ বেশি দাম নিলে সরকার ব্যাবস্থা নিতে পারে।
অস্বস্তির বাজারে কিছুটা স্বস্তি মুরগি ও ডিমে। দাম কমতে শুরু করেছে এই দুটি পণ্যের।
দোকানি বলেন, ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা কম। শীত ঘনিয়ে এলে দর আরো কমবে।
মাছের বাজারে সুবাতাস বইছে। সরবরাহ বাড়ায় ইলিশের দাম কেজিতে প্রায় ২০০ টাকা কমেছে। অন্যান্য মাছের দাম নিয়ে ক্রেতারা সন্তুষ্ট।
মাছ ব্যাবসায়ী জানান, মাছের সবরাহ বাড়ায় সাগর এবং দেশীয় মাছের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কম। সামনে আরো দর কমতে পারে।
সবজির বাজারে শীতের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। জোগান বাড়তে শুরু করেছে নানা পদের সবজির। তবে দাম কমছে ধীরগতিতে।
সবজি ব্যবসায়ী বলেন, শীতে সবজির জোগান বেশি হওয়ায় দাম খুব কম থাকে। তাই এসময়ে সবজির মূল্য থাকবে হাতের নাগালে।
দিন শেষে বাড়তি দামের ভারে পণ্য কিনে ঘরে ফিরে যাওয়াকে একপ্রকার মানিয়ে নিয়েছেন ক্রেতারা।