টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে বিধ্বস্ত করেছে ইংল্যান্ড। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে রোহিত শর্মাদের ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন জস বাটলার বাহিনী। আগামী ১৩ নভেম্বর মেলবোর্নে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
আজ বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে শেষ চারের ম্যাচে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ভারত বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়ার হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে। ১৬৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস ঝড়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে ও ২৪ বল বাকি থাকতে দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন দুই ইংলিশ ওপেনার। জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলসকে কোনো ভারতীয় বোলারই দমাতে পারেননি। মাত্র ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি করা হেলস ছিলেন একটু বেশিই আক্রমণাত্মক। শেষ পর্যন্ত এই ডানহাতি ৪৭ বলে ৪টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৮৬ রানের অপরাজিত থাকেন।
এদিকে প্রথমে কিছুটা রয়ে সয়ে খেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়ক বাটলারও জ্বলে ওঠেন। ৩৬ বলে ফিফটির পর ভারতীয় বোলারদের তিনিও তুলোধুনো করেন। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার লোকেশ রাহুলকে হারায় ভারত। ক্রিস ওকসের বলে উইকেটরক্ষক জস বাটলারকে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর বিরাট কোহলির সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন রোহিত শর্মা। তবে জুটি ভেঙে ইংল্যান্ডকে স্বস্তি এনে দেনে ক্রিস জর্ডান। নবম ওভারে স্যাম কারেনকে ক্যাচ দেন ভারতীয় অধিনায়ক। ২৮ বলে তিনি ২৭ রান করেন।
ভয়ঙ্কর ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১২তম ওভারে আদিল রশিদের বলে তুলে মারতে গিয়ে ফিল সল্টকে ক্যাচ দেন তিনি। ১০ বলে ১৪ রান করেন তিনি। তবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বিরাট কোহলি এই আসরে চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন। অবশেষে ৪০ বলে ঠিক ৫০ করে জর্ডানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। তিনি ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান।
দলের অন্যদের ছাপিয়ে এদিন অসাধারণ ব্যাটিং করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ইনিংসের শেষ বলে হিট উইকেট হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এ সময় তিনি ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান। জর্ডানের শেষ ওভারের শেষ বলে শট ঠিকিই খেলেছিলেন, তবে তার পা লেগে স্টাম্প ভেঙে যায়।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান ক্রিস জর্ডান। এছাড়া একটি করে উইকেট পান ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ।