আজকের দিনে গণতন্ত্রের জন্য শহীদ হয়েছিলেন বাংলাদেশের একজন গণতন্ত্রকামী মানুষ নূর হোসেন। গণতন্ত্র হরণের অভিযোগে যে দলের বিরুদ্ধে ছিল নূর হোসেনের, সে দল আজ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায়। নূর হোসেন শহীদ হওয়ার পর ১৯৯১ সনে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই গণতন্ত্রের মাঝে প্রবেশ করে যায় নূর হোসেনের অভিযুক্ত দল। গনতন্ত্রে প্রবেশেই শুধু নয়, সেই দল সরকারের অংশও হয় এবং নূর হোসেনের হত্যকারী সন্দেহে যাদের অভিযুক্ত করা হয় তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকাও দেয়া হয়।
১৯৯০ সনে তিন জোটের যে রুপরেখার যৌথ আহবানে নূর হোসেন রাজপথে নেমেছিলেন, সেই তিন জোটের এক জোটের অংশ হয় নূর হোসেনের অভিযুক্ত দল। তাহলে নূর হোসেনের রক্ত গেলো কোথায়! নূর হোসেন যদি জানতেন তার অভিযুক্ত দল রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় যাবে তবে হয়তবা নূর হোসেন রাজপথে আসতেন না।
তিন জোটরে রুপরেখার আওয়ামীলীগ গণতন্ত্র হরণকারী জাতীয় পার্টর সাথে সরকার গঠন করে। আর বিএনপি ও আওয়ামীলীগ দেশ বিরোধী দল জামায়াতের সাথেও সরকার গঠন করে। তাই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বড় দুই দলের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আর এক দলের জামায়াত বিরোধী আন্দোলন নিছক রাজনৈতিক আস্ফালন ছাড়া অন্য কিছু নয়।
প্রতি বছর শহীদ নূর হোসেন ও শহীদ ডা: মিলনদের দিবস আসে। এই দিবসে আওয়ামীলীগ বিএনপি এমনকি জাতীয় পার্টিও কবর জিয়ারত করে। হায়রে নিয়তি! যে গণতন্ত্রের জন্য নূর হোসেন শহীদ হলেন সেই গণতন্ত্র আজো প্রতিষ্ঠিত হলো না। তাই বৃথা গলো নূর হোসেনের তাজা রক্ত।