চট্টগ্রাম: অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা আলোচিত নগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (কোতয়ালি) শাহ মো.আব্দুর রউফকে বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও চার সহকারি কমিশনার পদে রদবদল এনেছেন সিএমপি কমিশনার মোহা.আব্দুল জলিল মন্ডল।
শনিবার রাতে পাঁচ সহকারি কমিশনারের রদবদলের আদেশে স্বাক্ষর করেন সিএমপি কমিশনার। একই সঙ্গে তিনি পাঁচ পরিদর্শক পদেও রদবদল করেছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ, প্রশাসন ও ট্রাফিক) একেএম শহীদুর রহমান রদবদলের বিষয়টি জানিয়েছেন।
নগর পুলিশের কোতয়ালি জোনের সহকারি কমিশনার শাহ মো.আব্দুর রউফকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখায় বদলি করা হয়েছে। রউফের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি কমিশনার (উত্তর) মো.মাঈনউদ্দিন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি কমিশনার (উত্তর) পদে এসেছেন সহকারি কমিশনার (ইমিগ্রেশন) মো.কামরুজ্জামান।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি কমিশনার (বন্দর) আনোয়ার হোসনকে সরিয়ে বন্দর জোনের ট্রাফিক বিভাগে বসানো হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ট্রাফিক বিভাগ থেকে আসা ফয়জুল হক।
নগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাহ মো.আব্দুর রউফ নগর পুলিশে যোগদানের পর অপরাধ দমন, চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটনের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনেন। প্রথমে পাঁচলাইশ জোনে সহকারি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর এক বছর আগে আসেন কোতয়ালি জোনে।
নগরীর কোতয়ালি থানার জিপিও’র সামনে বোমা ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন রউফ।
বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ চলাকালে বিশেষ মিশন নিয়ে চট্টগ্রামে আসা শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা এনামুরকে গ্রেপ্তার করে তেল স্থাপনা রক্ষা করেন শাহ মো.আব্দুর রউফ। এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা অনেকটাই কমে আসে।
এছাড়া চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ডাকাতদের গ্রেপ্তারেও রউফের দৃশ্যমান ভূমিকা আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মানব পাচার ও স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে দেশে যখন তোলপাড় চলছে, তখন দক্ষ এই পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠানো হচ্ছে ইমিগ্রেশনে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএ শহীদুর রহমান বলেন, ‘নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই বদলি করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন ওসিও বদলি হয়েছে।