আগামী ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। এই দিনটিতে যেন কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আগে থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে প্রতিকুল পরিস্থিতি এড়াতে অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে করা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পুলিশকে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর জন্য সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি এবং স্থগিত মামলা সচলের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। যেসব মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে বা অন্য কোনও কারণে স্থগিত রয়েছে সেগুলো সচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার চেষ্টা করে তবে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। কোনও গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল করতে কেউ যেন সুযোগ না পায় সে জন্য সাইবার মনিটরিং আরও বাড়ানো হয়েছে। থানাগুলোকে পেট্রোলিং বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পিআর শাখার এআইজি মানজুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অগ্রিম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনও নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান বলেছিলেন, এই বাংলাদেশ চলবে না, এই বাংলাদেশ চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে চলবে খালেদা জিয়ার কথায় ও দেশনায়ক তারেক রহমানের কথায়। এর বাইরে কোনো দেশ চলবে না কারও কথায়।