জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৭ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সোমবার তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গত ৪ নভেম্বর রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক মো. মেহেদী হাসান। শুনানি শেষে ওই দিন আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। পর দিন ২ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া বাদী হয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সী। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জালিয়াতিতে ড. এরতেজার সংশ্লিষ্টতা পায় পুলিশ। মঙ্গলবার গুলশানের অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআিইয়ের একটি দল।
মামলায় বলা হয়, নর্দান ইউনিভার্সিটির জন্য দক্ষিণখানে আশিয়ান সিটি প্রজেক্টে ৫ বিঘা জমি কেনার জন্য একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম দফায় ৩০ কোটি টাকা দেয় নর্দান কর্তৃপক্ষ। বাকি টাকা পরিশোধ না করেই আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সই জাল করে জমির রেজিস্ট্রি করা হয়। জমির মূল্য দেখানো হয় মাত্র ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
জালিয়াতির এ মামলায় আসামি আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ও রিয়াজুল আলমকে এর আগে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।