সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কারণ ছাড়াই প্রায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে মোটা চাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, মসুর ডালসহ অধিকাংশ সবজির দামও বেড়েছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত তিনদিনে মিল পযার্য়ে মোটা চাল প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। যার কারণে খুচরা বাজারে খোলা চালের দামও এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।
প্রতি কেজি আটা ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ভালো মানের ময়দার দাম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা হয়েছে। ডালের দাম গত কয়েকদিনের মধ্যে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের দামও ৫ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। ৭৫ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে কাকরোল, কচুর লতি, উস্তা, করলা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে। বেগুন, পটল, চিচিঙ্গা, মুলা ও একপিস ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ টাকার মধ্যে। শিম ১২০ টাকা এবং গাজরের কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বেশি। অনেক ক্রেতা দাম শুনে পণ্য না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বেচাকেনাও কমে গেছে। দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে আমাদেরও স্বস্তি নেই।
ক্রেতারা জানান, সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি। মধ্যবিত্তরা ও নিম্নবিত্তদের অবস্থা খুবই খারাপ। সংসারের খরচ কমাতে কমাতে আর পারছি না। এরমধ্যে ভোজ্যতলের দাম লিটারে আরও ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারের যে অবস্থা এখন হয়তো একবেলা না খেয়ে থাকবে হবে।