বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিলো পাকিস্তান। ৭ ওভারে মাত্র ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তানের ইনিংস শেষে সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৮৫ রান। মাত্র ২২ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন শাদাব খান, ইফতেখার আহমেদে ব্যাটে আসে ৩৫ বলে ৫১। পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে বিরাট এই লক্ষ্য।
এই দিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আরো একবার ব্যর্থ পাকিস্তানের টপ অর্ডার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ তিন অংক ছোঁয়া বাবর-রিজওয়ান জুটি এই আসরে সুপার ফ্লপ। চার ম্যাচে একবারও পাড়ি দিতে পারেনি ২০ রানের গণ্ডি। ১, ১৩, ১৬ এর পর আজ পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে ৪ রানে। ৪ বলে ৪ করে পার্নেলের বলে ফিরেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
সাহসী শুরু করেছিলেন প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামা ২১ বছর বয়সী মোহাম্মদ হারিস। ২ চার আর ৪ ছক্কায় মাত্র ১১ বলে ২৮ করে ফেলা এই তরুণকে ফেরান এনরিখ নর্টযে। পরের ওভারে বাবর আজমও ফিরেন ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে। আজ ৬ রান করতে বল খরচ করেছেন ১৫টি। এই নিয়ে বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচে মাত্র ১৪ রান করেছেন বাবর। গড় ৩.৫ আর স্ট্রাইকরেট ৪৬.৬।
৬.৩ ওভারে শান মাসুদকেও হারায় পাকিস্তান। নর্টজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তিনি ফিরেন ৬ বলে ২ রানে। মাত্র ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তানকে পথ দেখান ইফতেখার আহমেদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ। ৫২ রানের জুটি গড়ে ২২ বলে ২৮ করে নওয়াজ ফিরলে, এবার শাদাব খানের সাথে জুটি গড়ে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করতে থাকেন ইফতেখার।
দু’জনে মিলে মাত্র ৩৬ বলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৮২ রান। তবে এক বলের ব্যবধানে দু’জনেই ফিরেন সাজঘরে। তবে ততক্ষণে ১৭৭ রান চলে এসেছে স্কোরবোর্ডে, বাকি আছে আরো ৫ বল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৮৫ রানেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস। মাঝে ওয়াসিম জুনিয়র ও শেষ বলে রান আউটের শিকার হন হারিস রউফ।