পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে প্রথমবারের মতো রেল চলাচল চালু হলো। পরীক্ষামূলকভাবে একটি ইঞ্জিন ও খোলা বগি চলাচলের মধ্যে দিয়ে সূচিত হলো নতুন ইতিহাসের।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙা রেল স্টেশন থেকে বগিটি যাত্রা শুরু করে। এ সময় পদ্মা সেতুর রেল সড়ক প্রকল্পের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, রেলওয়ের কর্মকর্তা ও চীনা কোম্পানির প্রতিনিধি দল উপস্থিতি ছিলেন।
পদ্মা সেতুর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে রেল চলাচল উপলক্ষে আগে থেকেই স্টেশনটিকে সাজানো হয়। স্থানীয় উৎসুক জনতা রেল ইঞ্জিনটি দেখার জন্য ছুটে আসেন নানা প্রান্ত থেকে।
ভাঙ্গা রেল স্টেশন মাস্টার মো: শাহজাহান জানান, বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত রেল ইঞ্জিনটি গ্যাংকার নামেও পরিচিত। পরীক্ষামূলক এই গ্যাংকারটি ভাঙ্গা থেকে ৩২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পদ্মা সেতুর দক্ষিণে জাজিরার ভায়াডাক্টে পৌঁছায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) আফজাল হোসেন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মেজর, জেনারেল এস,এম জাহিদ ও রেল প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার অংশের কাজের অগ্রগতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া চায়না সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করা হচ্ছে ।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচলের টার্গেট রয়েছে আগামী জুনে। মাওয়া রেল স্টেশনের অগ্রগতি প্রায় ৮৫ শতাংশ ও জাজিরা প্রান্তের পদ্মা রেল স্টেশনের কাজের অগ্রগতি ৭৭ ভাগের বেশি। তবে রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেললিঙ্ক প্রকল্প শেষ হবে ২০২৪ সালে।