সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদপুত্র শাহাতা জারাব এরিককে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েও তা আটকাতে পারেনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করেন এরিক এবং তার মা বিদিশা। ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে তারা সৌদিতে গেছেন বলে জানা গেছে।
বিদেশ যাওয়ার আগে ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের’চেয়ারম্যান পদ থেকে কাজী মো. মামুনুর রশীদকে অব্যাহতি দিয়ে ব্রি. জে. (অব:) মো: তানভীর ইকবালকে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছেন এরিক এরশাদ। ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল ট্রাস্ট পরিচালনা পর্ষদের নতুন এ চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে তার স্বাক্ষরিত এক চিঠি এবং ভিডিও বার্তায় জানানো হয়।
অন্যদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার কাজী মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদপুত্র শাহাতা জারাব এরিককে এরশাদ ট্রাস্টের কোনো সদস্য ব্যাতিত বিদেশ সফর সঙ্গী না করতে বিদিশা সিদ্দিককে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ট্রাস্টের প্যাডে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো লিখিত ও চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গঠিত ট্রাস্টের নির্দেশনামতে সংস্থার সুবিধাভোগি শাহাতা জারাব এরিক এরশাদের সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করবে ট্রাস্টি বোর্ড। সুতরাং ট্রাস্টের কোনো সদস্য ব্যাতিত এরিককের বিদেশ ভ্রমণ নিরাপত্তাহীনতার শামিল।
এ বিষয়ে গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন ট্রাস্টের সদস্য ও প্রেসিডেন্ট পার্কের তত্ত্বাবধায়ক কাজী রুবায়েত হাসান। বিমানবন্দর থানা এবং ইমিগ্রেশনেও বিষয়টি অবহিত করেন এরশাদ ট্রাস্টের সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বিদিশা-এরিকের এই বিদেশযাত্রা আটকানো যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করেন এরশাদের ছেলে এরিক এবং তার মা বিদিশা। ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে তারা সৌদিতে গেছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মারা যাওয়ার পর তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরিকের মায়ের দাবি নিয়ে প্রেসিডেন্ট পার্কে ওঠেন। তাদের সন্তান এরিককে দেখভাল করতে থাকেন। শুরুতে এরশাদ ট্রাস্টের সংশ্লিষ্টরা বিদিশার পক্ষেই ছিলেন। অন্য দিকে সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান নেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।