পদ্মপাতার জল’ ছবির দৃশ্য
নারীর ছলনা বোঝার মতো বয়সে কখনো পৌঁছায় না পুরুষ। এ চরম সত্য পায়ে মাড়িয়ে আলেয়ার পানে ছুটে চলে ইমন। মিম অন্ধ গলির মেয়ে। তার রূপের জালে আটকে যাওয়াটা জমিদার নন্দন ইমনের জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়। স্বপ্নের এই নারীদের বাস্তবিক কোনো পরিচয় থাকতে পারে না। তুমি হলে সেই শিকারি। যে শিকারের আগে ঢিল মেরে উড়িয়ে দাও পাখি। তারপর ছুড় গুলি। মিমের এই ইশারা হয়তো ইমনের কাছে দুর্বোধ্য ছিল। পরিণতি সম্পর্কের মাঝে সমাজ নামের পুরু দেয়াল। গল্পের নায়কের উপমা শিশির। আর নায়িকার রুপক পদ্মপাতা। শিশিরের জীবন পূর্ণতা চায় পদ্মপাতার বুকে এসে। তাদের ভালোবাসা বাঁচতে চায় পদ্মপাতার জল হয়ে। তন্ময় তানসেন ছোট পর্দার নির্মাতা। বড় পর্দায় প্রথমবার তার হামাগুড়ি। কত স্বাচ্ছন্দ্যে কাঁপা কাঁপা পা আত্মবিশ্বাসের শক্তিতে মজবুত করা যায় তার স্বাক্ষর রাখলেন তিনি তার প্রথম চেষ্টায়। এর প্রমাণ ‘পদ্ম পাতার জল’ ছবির গান প্রকাশের প্রথম দিনেই লাইকের ঘরে ২০ হাজারের বেশি ক্লিক পড়া। এতেই শুরু হয়ে যায় ছবির ক্যাম্পেইন কিক অফ। তিন তরুণ প্রকৌশলী। শেখ আসিফুর রহমান, রাজু আহমেদ, রাজীব রায়হান। কপালে চিন্তার ভাঁজ এঁকে কাজ করার মতো পেশায় থেকেও স্বপ্ন দেখলেন চকচকে রুপোলি চাঁদে নাও ভিড়ানোর। শখ, স্বপ্ন- অবশেষে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাঁটা। তারা প্রযোজক। তাদের স্বপ্নের সারথী হলেন নামী নির্মাতা গাজী মাহাবুব। তিনি নির্বাহী প্রযোজক। আত্মবিশ্বাসী তিন তরুণের কথায় আমাদের মিশন সফল। ‘পদ্মপাতার জল’ শুধু ছবি নয়। বিনোদনের ভাঁজে নতুন এক বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া।
সম্প্রতি ‘পদ্মপাতার জল’ ছবির হাট বসেছিল। তারকারা উচ্ছ্বাস আর আনন্দে হাঁটলেন লালগালিচায়। ছবির গান আর গল্পের অংশ তাদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফোটাল। গল্পের জনক লতিফুল ইসলাম শিবলীর চোখের কোণে আনন্দ-অশ্রু চিক চিক করে উঠল। মুুহূর্তেই একঝাঁক ক্যামেরার ফ্লাশ জ্বলে উঠে বন্দী করল ‘পদ্মপাতার জল’-এর ঘনঘটাকে। ইমন আর মিমের চোখে মুখেও যুদ্ধ জয়ের হাসি। তারা বললেন, প্রিয় দর্শক উৎসবের আনন্দকে বেগবান করতে আমি আর মিম আসছি আনন্দের ঈদে। কথা দিচ্ছি আপনাদের নিয়েই এবার চাঁদের নায়ে ভেসে বেড়াব আমরা।