ঘুমের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

লাইফস্টাইল


শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বয়সভেদে বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষই নিদ্রাহীনতার সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তি এবং অন্তঃসত্ত্বা নারী বা নতুন মায়েদের ৫০ শতাংশ পর্যাপ্ত ঘুম থেকে বঞ্চিত। ইদানীং শিশু-কিশোরেরাও এই সমস্যায় ভুগছে। করোনাকালে এই সমস্যা আরও বেড়েছে।

যদিও প্রত্যেকের ঘুমের ধরন ও সময় আলাদা; তবে আমাদের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। পর্যাপ্ত সুনিদ্রার জন্য কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ঘুম না হলেই যে ঘুমের বড়ি খেতে হবে, বিষয়টা তা নয়।

ঘরোয়া করণীয়

দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো আবশ্যক। যারা রাত্রিকালীন কাজে নিয়োজিত থাকেন, তাদের দিনের বাকি সময়ের মধ্যে এই কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিতে হবে।

সুষম খাবার গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত (যেমন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন) আধঘণ্টা করে হলেও হাঁটা বা শরীরচর্চা করা উত্তম। তবে রাতে ঘুমানোর আগে তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে কোনোরূপ ব্যায়াম না করাই শ্রেয়।

দৈনিক একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এমনকি ছুটির দিনেও।

ঘরের তাপমাত্রা, শোবার বিছানা ও ঘুমের পরিবেশ যেন সুনিদ্রাসহায়ক হয়, তা খেয়াল রাখুন।

ঘুমের সময় সারা দিনের সব কাজ, সমস্যা, ঘটনা কিংবা পরদিনের জন্য নানাবিধ পরিকল্পনা ইত্যাদি নিয়ে চিন্তাভাবনা থেকে বিরত থাকবেন।

ঘুমের আগে মুঠোফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার, টিভি দেখা, গেমস খেলা পরিহার করুন।

মদ্যপান, চা-কফি, চকলেট এ জাতীয় খাবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।

দিনের বেলা ২০ মিনিটের বেশি না ঘুমানোই ভালো।

ঘুম না এলে বারবার ঘড়ি দেখা কিংবা এটা নিয়ে অস্থির হয়ে পড়া বা এ জন্য ঘুমের ওষুধ হিসেবে যেকোনো কিছু খেয়ে ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদি অনিদ্রা মানবদেহে বিভিন্ন গুরুতর জটিলতার জন্য দায়ী। কারও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

তবে মনে রাখবেন, ইনসমনিয়া কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়, এর প্রতিকার দরকার। তাই অপর্যাপ্ত ঘুমের ধরন ও তীব্রতা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করা যেতে পারে এবং ক্ষেত্রবিশেষে কাউন্সেলিংয়ে উপকার পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *