বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে প্রচণ্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে সীমান্তের অনেক বাসিন্দা বাড়ি ছেড়ে নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে চলে গেছেন।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) সাড়ে ১১টায় নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি ইউনিয়নের বাহিরমাঠের কাছে ৪৯, ৫০নং সীমান্ত পিলারের ওপারে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বন্ধ থাকার পর রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আবারও গুলির শব্দ শোনা গেছে। এর আগে শনিবার দুপুরে বাহিরমাঠের কাছে ৪৯, ৫০নং সীমান্ত পিলার বরাবর ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি এবং সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়। সে সময় একটি গুলি এসে পড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। এরপর রবিবার সাড়ে ১১টার দিকে আবারও ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘বন্ধ থাকার পর দোছড়ি সীমান্তের বাহিরমাঠ এলাকা বরাবর ওপারে মিয়ানমারে সাড়ে ১১টার পর থেকে আবারও গুলির শব্দ শোনা গেছে। আমি ইতোমধ্যে সীমান্তে বসবাসরত দুই শতাধিক পরিবারকে নিরাপদে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তারা অনেকেই নিকটাত্মীয়ের বাসায় চলে গেছে। আজও অনেক পরিবার সরে যাচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি হচ্ছে। এ কারণে সীমান্ত এলাকার ৪০ থেকে ৫০টি পরিবার স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনও এ ব্যাপারে নজরদারি করছে।’