সমুদ্রে ভাসমান বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের উদ্ধার ও তাদের জন্য জরুরি ত্রাণ সরবরাহের কাজে বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত এক সংবাদ-সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ। এক প্রশ্নের জবাবে ম্যারি হার্ফ বলেন, সমুদ্রে ভাসমান ৭,০০০ অভিবাসীকে সমায়িকভাবে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের সিদ্ধান্ত কার্যকরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সমূহকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ তিনটির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তিনি। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে আগামী ২৯শে মে আয়োজিত সম্মেলনে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বলে মন্তব্য করেন হার্ফ। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি বর্গের উপস্থিতিতে আয়োজিত ওই সম্মেলনে অভিবাসী ইস্যুতে সম্পৃক্ত এ অঞ্চলের সবগুলো দেশ অংশ নেবে, এমনটা মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেন তিনি। হার্ফ বলেন, সমুদ্রে ভাসমান অবৈধ অভিবাসী ও আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে এবং নতুন অভিবাসীবোঝাই কোন বোটকে ফিরিয়ে না দেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো অব্যাহত রেখেছে। ডেপুটি-মুখপাত্র বলেন, ওই অঞ্চলে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী টনি ব্লিনকেন রয়েছেন। আজ (গতকাল) ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় তিনি বলেছেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সহযোগিতায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। ম্যারি হার্ফ বলেন, আগামীকাল তিনি (ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বার্মায় (মিয়ানমার) যাবেন। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি মিয়ানমার সরকারের নীতি, ধর্মীয় বৈষম্যের বিষয়গুলো উঠে আসবে আলোচনায়। রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা ইস্যুগুলো সমাধানে এবং রোহিঙ্গা জনসংখ্যা মিয়ানমারে যেসব ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে, তা সমাধানে মিয়ানমার সরকার দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন ম্যারি হার্ফ। যুক্তরাষ্ট্র অসহায় এ অভিবাসীদের পাশে দাঁড়াবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি মুখপাত্র বলেন, যদি ইউএনএইচসিআর ও আইওএম সরকারগুলোকে সহযোগিতায় অতিরিক্ত তহবিলের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়, সেক্ষেত্রে আমরা সে অনুরোধগুলো বিবেচনা করবো।