প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বিচার বন্ধ করতে ১৯৭৫ সালে ‘কুখ্যাত ইনডেমনিটি’ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সেই অধ্যাদেশ বাতিল করে। ফলে বিচারহীনতার কালচার থেকে জাতি মুক্তি পায়।
আজ মঙ্গলবার সকালে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটাই লক্ষ্য- এ দেশের মানুষ যেন একটা সুন্দর জীবন পায়। তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন সুন্দর হয়। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যেন মর্যাদার স্থান পায়।’
তিনি বলেন, সরকারে এসে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ শেখ রাসেল এবং যারা যারা নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে অভিশাপমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। তাইতো দেশ এগিয়ে যেতে পারছে।
শেখ রাসেল স্মরণে তিনি বলেন, ‘ছোট্ট রাসেল তখন সেনা সদস্যদের দেখত, বড় হয়ে সেও সেনা সদস্য হতে চাইত। টুঙ্গিপাড়ায় গেলে সে সমবয়সী শিশুদের জড়ো করত। তাদের প্যারেড করাত। তারপর চাচার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শিশুদের হাতে ১ টাকা করে দিত। মা ওইসব শিশুদের জন্য চকলেট-বিস্কুট নিতে যেতেন। এ ছাড়া নতুন জামা-কাপড় নিয়ে যেতেন। রাসেল সেগুলো ওই শিশুদের দিত। সেই রাসেলসহ আমার পুরো পরিবারকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলেই বাংলাদেশকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে পেরেছি। দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আরও এগিয়ে যাবে।’