লক্ষ্মীপুরে একটি তালাবদ্ধ ভবনের ভেতর থেকে আবু সিদ্দিক (৭৩) ও আতরের নেছা (৬৫) নামে বৃদ্ধ দম্পতির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের শাকচর গ্রামের ছৈই মিঝি বাড়ি থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, হত্যাকারীরা ৪ থেকে ৫ দিন পূর্বে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ঘরে রেখে বাইরে তালাবদ্ধ করে যায়।
নিহত বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক ছৈই মিঝি বাড়ির মৃত আমিন উল্যার ছেলে। ওই দম্পতির শরীরের অধিকাংশই গলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, শাকচর ছৈই মিঝি বাড়িতে বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক স্ত্রী নিয়ে একাই বসবাস করতেন। কয়েকদিন পূর্বে একই বাড়ির অন্য হিস্যার গিয়াস উদ্দিন নামের জনৈক ব্যক্তির নিকট বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক তার ভাইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ৭ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। গত শুক্রবার ওই জমির পরিমাপেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বিক্রি করা জমি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বৃদ্ধের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি আনতে জান গিয়াস উদ্দিনসহ দু’জন। এ সময় ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়ির কলাপসিবল গেইট খুলতে গিয়ে দেখেন তালাবদ্ধ এবং ঘরের ভেতর থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ তালা ভেঙে খাটের উপর আবু ছিদ্দিক ও তার স্ত্রী আতরের নেছার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পায়। পরে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
শাকচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফারুক হোসেন মেম্বার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক ও স্ত্রী আতরের নেছার সংসারে কোনো সন্তান নেই। আবদুর রহিম নামে তাদের একজন পালক সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর বৌ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকে সে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন পূর্বে হত্যাকারীরা ছাদের সিঁড়ির দরজা দিয়ে প্রবেশ করে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে রেখে যেতে পারে। তবে এ ঘটনায় কাউকে শনাক্ত কিংবা আটক করা হয়নি। ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
