২০২১ সালের মার্চে এক গণভোটের মাধ্যমে প্রকাশ্যে ‘মুখ ঢাকা পোশাক’ নিষিদ্ধ করে সুইজারল্যান্ড। কিন্তু দেশটিতে করোনার কারণে মাস্ক পরার বিধান আছে। তবে নতুন আইন করতে যাচ্ছে দেশটি।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার পার্লামেন্টে খসড়া পাঠিয়েছে সুইস সরকার। তাতে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে জাতীয় ‘মুখ ঢাকা পোশাক’ আইন কেউ অমান্য করলে এক হাজার ডলারের বেশি জরিমানা করা হবে। অর্থাৎ মুখ ঢেকে কেউ বোরকা পরলে তার জরিমানা হবে।
দেশটির প্রধান ডানপন্থী রাজনৈতিক দল এগেরকিঙ্গের কমিটি বুধবার পার্লামেন্টে এই আইনের খসড়া বা বিল জমা দেয়। দেশটিতে কথিত বোরকা নিষিদ্ধ আইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ। এখন দেশটির পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য বিলে সমর্থন জানালেই সেটি আইনে পরিণত হবে।
গত বুধবার পাঠানো এ খসড়ায় বলা হয়েছে, গত বছর জনসম্মুখে বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে একটি বিল জমা হয়। এতে সুইস আইনপ্রণেতাদের ৫১ দশমিক ২ শতাংশ বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোটে দেয়।
রিপোর্ট, বিলে বোরকা বা নেকাবের নাম না নিয়েই দেশটির জনসম্মুখে, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, রেস্তোরাঁ বা রাস্তায় হাঁটার সময় মুখ লুকিয়ে রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নারীরা মাথার চুল ঢেকে রেখে হিজাব পরতে পারবেন। তবে, পুরো শরীর ঢাকলেও তাদের চেহারা অর্থাৎ মুখ, নাক, চোখ দেখা যেতে হবে।
সুইজারল্যান্ডে বর্তমানে জনসংখ্যা ৮৬ লাখের বেশি। এরমধ্যে দেশটিতে ৫ শতাংশ মুসলিমের বসবাস। তাদের অধিকাংশই তুরস্ক, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং কসোভোর নাগরিক।