নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বাংলাওয়াশ সিরিজ জিতল পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। জবাবে ৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে পঞ্চম ওভারে অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় পাকিন্তান। এর মধ্যদিয়ে ২৯ রানের জুটি ভাঙেন মাইকেল ব্রাসওয়েল। বাবরের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ১৫ রান। বাবরের পর ওয়ানডাউনে নেমে ধরে খেলতে থাকেন শান মাসুদ। ১১তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে শান মাসুদকে আউট করেন ব্রাসওয়েল। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ১৯ রান। পরের ওভারেই কিপার-ব্যাটার রিজওয়ানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান টিম সাউদি। ২৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। রিজওয়ানের পর ব্যাট হাতে নেমে হায়দার আলি ১৫ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ নওয়াজ ২২ বলে ৩৮ ও ইফতেখার আহমেদ ১৪ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
ক্রাইস্টচার্চ স্টেডিয়ামে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাক অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু প্রথম ওভারেই ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে দেন নাসিম শাহ। এরপর ডেভন কনওয়েকে নিয়ে ভালোই জুটি গড়ে তোলেন অধিনায়ক কেন উইয়িামসন। কিন্তু জুটিটাকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেননি পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ। ষষ্ঠ ওভারে ডেভন কনওয়ের উইকেটই উপড়ে ফেলেন তিনি। একই ওভারে চতুর্থ বলে হারিস রউফের বল ডিফেন্স করতে যান গ্লেন ফিলিপস। কিন্তু বলের আঘাতে ব্যাটের নিচের অংশ ভেঙে যায়।
৯৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর কেন উইলিয়ামসন ও মার্ক চ্যাপম্যানের ব্যাটে ভালোই এগোচ্ছিল তারা। ৩৭ রানের জুটি ভাঙে শাদাব খানের বলে উইলিয়ামন আউট হলে। ৩৮ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। ১৯তম ওভারে বিদায় নেন জেমস নিশাম ও চাপম্যান। ১৯ বলে ২৫ রান করে বাবর আজমকে ক্যাচ দেন চাপম্যান। পরের বলে রান আউট হন নিশাম (১৭)। শেষ ওভারে ইশ সোধি ২ রান করে বিদায় নেন।
শেষ পর্যন্ত কেন উইলিয়ামসনের ৩৮ বলে ৫৯ রানের সুবাদে পাকিস্তানকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দিতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড।