ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলায় মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদসহ সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তিন জনকে যাবজ্জীবন ও বাকি ৯ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন— উপজেলা বিএনপির একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদ, গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ রেজা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য খাইরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, ছাত্রদলকর্মী মাঈন উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম, রুহুল আমিন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন— মাসুদ পারভেজ কার্জন, শরীয়ত উল্লাহ ওরফে সুমন ও রাসেল মিয়া। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন— গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, তার দুই ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম ও সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, শাহজাহান মিয়া, কামাল মিয়া, রিফাত, হানিফ ওরফে আবু হানিফা, জাহাঙ্গীর আলম ও মজিবুর রহমান। এদিন আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল দুপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামসহ ১৯ জন আসামি ছিলেন। অপর আসামিরা হলেন— উপজেলা বিএনপির একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদ, সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজাহারুল ইসলাম জুয়েল, মাসুদ পারভেজ কার্জন, গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ রেজা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোজাম্মেল হক, খাইরুল ইসলাম, ছাত্রদলকর্মী রিফাত, মো. আবু হানিফা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলকর্মী মজিবুর রহমান, ছাত্রদলকর্মী শরীয়তউল্লাহ ওরফে সুমন ও যুবদলকর্মী রাসেল মিয়া, কামাল মিয়া, মাঈন উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম, রুহুল আমিন ও শাজাহান মিয়া।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মধ্যবাজার পান মহালে রাত ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে নিহতের ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ১৯ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।