পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪৬ রান করেছে টাইগাররা। বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের এই দিনে পাকিস্তান জয় তুলে নিয়েছে ২১ রানের।
ম্যাচ জেতার কিছুটা আশ্বাস দিয়েছিলেন লিটন-আফিফ। তবে লিটনের বিদায়ের পরে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। এর ফলে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল বাংলাদেশ।
রান তাড়ার প্রথমেই সাব্বির ও মিরাজকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল টাইগাররা। তবে সেই চাপ সামলে নিয়েছিলেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। দুজনের ব্যাটে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ।
তবে মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন লিটন। ফেরেন ৩৫ করে। এরপর আরও দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। যা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তবে শেষে ইয়াসির আলি কিছুটা লড়াই করে গিয়েছিলেন। তবে তা যথেষ্ট ছিল না। ইয়াসির আলির অপরাজিত ২১ বলে ৪২ রানের ইনিংসে, শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে বাংলাদেশ।
এর আগে ১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন মিরাজ। এরপর দলীয় ৩৭ রানে হাসান রাউফের বলে ১৮ বলে ১৪ রান করে আউট হন সাব্বির। কিন্তু আফিফ এবং লিটন কিছুটা আশ্বাস দেখাচ্ছিলেন। দুইজনে করেন ৫০ রানের জুটি। তবে এই জুটি ভাঙার পরই মুড়িমুড়কির মতো উইকেট পরতে থাকে বাংলাদেশের। সোহান, মোসাদ্দেক কেউই আজ ক্রিজে টিকতে পারেননি। অধিনায়ক সোহান করেন ৮ রান। আর মোসাদ্দেক তো গোল্ডেন ডাকেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন।
এদিকে তাসকিন-নাসুমের দারুণ বোলিংয়ের মাঝেও ব্যর্থ ছিলেন মুস্তাফিজ-হাসান মাহমুদরা। যেখানে তাসকিন তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে চেপে ধরেছিলেন। সেখানে মুস্তাফিজ চার ওভারে দিয়েছেন ৪৮ রান; উইকেট পাননি একটিও। হাসান মাহমুদও খরুচে ছিলেন এদিন। ৪ ওভার বোলিং করে ৪২ রান দিয়েছেন এ পেসার।
এদিকে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরু এনে দেন রিজওয়ান ও বাবর। তবে ম্যাচের অষ্টম ওভারে তাদের জুটি ভাঙেন মিরাজ। সুইপ করতে গিয়ে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৫ বলে ২২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাবর।
এরপর শান মাসুদকে ফেরান নাসুম আহমেদ। আর ইয়াসির আলীর দারুণ এক ক্যাচে তাসকিনের করা তৃতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হায়দার আলি। তবে পাকিস্তানের অন্য ব্যাটসম্যানরা যেখানে ব্যর্থ, সেখানে বরাবরের মতো জ্বলে উঠেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার অপরাজিত ৫০ বলে ৭৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬৭ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। এ ছাড়াও একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ, মেহেদী এবং নাসুম আহমেদ।