ভারতের থানে জেলার কল্যাণ এলাকায় বাংলাদেশী এক যুবতীকে গণধর্ষন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই। এতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ২০ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশী যুবতীকে কয়েক নরপিশাচ কল্যাণ রেল স্টেশনের কাছে মারধোর ও গণধর্ষন করে। এরপর তাকে ট্রেনের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। পিটিআই কল্যাণ-কোলশেওয়াদি পুলিশ স্টেশনের উপ-পরিদর্শক ভিএস পাওয়ারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ধর্ষিতার বাড়ি বাংলাদেশের অভয়নগরে। ৪-৫ বছর আগে মিঠুন চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তি তাকে মুম্বই নিয়ে যায় এবং জিজু নামের এক ব্যক্তির কাছে তাকে বিক্রি করে দেয়। এরপর থেকে কল্যাণ রেল স্টেশনের কাছে এক বস্তিতে তিনি ছিলেন জিজুর সঙ্গে। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে আরও বলা হয়, জিজু ও আরেক ব্যক্তি ওই বাংলাদেশী যুবতীকে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করে। ১০ই মে মধ্যরাতের দিকে ৩-৪ নরপিশাচ তাকে কল্যাণ রেলওয়ে প্রাঙ্গণে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। শুধু ধর্ষণ করেই নিবৃত্ত থাকেনি। তারা তাকে নির্মম প্রহার করে। এরপর পাঠানকোট এক্সপ্রেস ট্রেনে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। ১১ই মে কয়েকজন মানুষ মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় ট্রেনের মধ্যে খুঁজে পায়। ভোপাল স্টেশনে রেলওয়ে পুলিশ তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। ১৩ই মে ভোপাল পুলিশ ধর্ষণের শিকার যুবতীর জবানবন্দী নেয় এবং অভিযোগটি মুম্বই রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে মুম্বই রেলওয়ে পুলিশ মামলাটি আরও তদন্তের জন্য পাঠায় কল্যাণ পুলিশের কাছে। ভি এস পাওয়ার জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত চলছে।