দুর্গোৎসবের মহানবমী আজ। আর মাত্র এক দিন পরই মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে, স্বামী গৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী।
শাস্ত্র অনুযায়ী, রাবণের পরাজয় যখন অনিবার্য তখন শাপলা, শালুক ও বলিদানের মধ্য দিয়ে দেবীর পূজা করা হয়। সকালে মহানবমীতে যজ্ঞের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় বিহিত পূজা। মণ্ডপে মণ্ডপে থাকছে প্রসাদ বিতরণ এবং সন্ধ্যায় আরতি। দেবী দুর্গার আগমনে, উৎফুল্ল হন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা, তেমনি বিদায় ঘিরে বাজতে শুরু করে বিচ্ছেদের সুর।
বুধবার বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হবে বিসর্জন।
পুরাণ অনুযায়ী, এবার দেবী মর্ত্যে এসেছেন গজে চেপে। দুর্গা গজে চড়ে এলে সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনেন। আর ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী মর্ত্য ছাড়বেন নৌকায় চড়ে। নৌকায় গমনেও ধরণী হবে শস্যপূর্ণ তবে থাকবে অতিবৃষ্টি বা বন্যা।
সারা দেশে এবার ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৪১টি। এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিটি মণ্ডপে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয়েছে মণ্ডপ পাহারায়।