গাড়িচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টায় আতঙ্কিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী আত্মরক্ষার জন্য থানায় হাজির হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। শুক্রবার (১অক্টোবর) রাতেই তিনি থানায় হাজির হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাবা ও ছোট ভাই। উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা বুবলীর সাধারণ ডায়েরি নম্বর ১৯১৭।
বুবলী সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার ভেবেছিলাম, দু-এক দিন পর সাধারণ ডায়েরি করব। এরই মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিই। বাসায় ফিরতে রাত ১১টা বেজে যায়। বাসায় ফেরার পর আব্বু-আম্মু আমাকে বলেন, কয়েকদিন ধরে যেসব ঘটনা ঘটছে, তাতে আর দেরি করার কোনো মানে হয় না। রাতেই যেন ঘটনাটি থানায় অবহিত করি। এরপর আব্বু, ছোট ভাইসহ থানায় গিয়ে ঘটনাটি উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি আকারে লিপিবদ্ধ করি। এর আগে শুক্রবার বিকেলে দেয়া স্ট্যাটাসে হত্যাচেষ্টার ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন বুবলি।
তিনি লেখেন, সব সড়ক দুর্ঘটনাই দুর্ঘটনা নয়, অনেক সময় পরিকল্পিতও হয় তা গত দুদিন টের পেয়েছি। উপলব্ধি করেছি আমরা যা দেখি বা যা শুনি তার পেছনেও অন্য এক অজানা সত্য থাকে। মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখলাম আর ভাবছিলাম আজকের দিনটি তো আমাকে নিয়ে অন্য রকম সংবাদও হতে পারতো। হয়তো আল্লাহর রহমত, মা বাবা ভাই বোনদের দোআ আর আপনাদের ভালোবাসায় এ যাত্রায় ভালো আছি।
বুবলি জানান, চোখ ছবির শুটিং থেকে ফেরার পথে কোন প্রকার সিগন্যাল বা হর্ণ না বিপরীত দিক থেকে একটি গাড়ি প্রচন্ড বেগে তার গাড়ির দিকে দেয়ে আসছিল। গাড়িটির গ্লাস ছিল কালো পেপারে মোড়ানো। তিনি বলেন, আমার ড্রাইভার হার্ড ব্রেক না করলে হয়তো অন্য কিছু হতে পারতো।
আর আমি নিজেও ড্রাইভিং জানি তাই কোনটি দুর্ঘটনা আর কোনটি ইচ্ছাকৃত তা বোঝার ক্ষমতা নিশ্চই একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মত আমারও আছে। তবে ঘটনা এখানেই থেমে থাকে নি। পরদিনও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। প্রথম দিন সব বুঝতে পেরেও মনকে স্বান্তনা দিয়েছিলাম হয়তো বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি এতো জোরে আসার কারনে কন্ট্রোল রাখতে পারেনি কিন্তু একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তো সেটি আর বুঝতে বাকি থাকে না যে এটি উদ্দেশ্যমূলক ভাবেই করানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অনেক দিন ধরেই আমি নানান ভাবে নানান কিছু বুঝতে পারছি, শুনতে পারছি। কিন্তু যারাই এসব ন্যাক্কারজনক অপরাধের সাথে জড়িত থাকবেন তারাও নিশ্চয় বার বার সুযোগের অপেক্ষায় থাকবেন। কিন্তু মনে রাখবেন কেউই আইনের উর্দ্ধে নন, আর আল্লাহ তো একজন আছেন যিনি সবই দেখেন। সম্পাদনা: আলামিন শিবলী