রাজধানীসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপগুলোতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পূজা-অর্চণার মাধ্যমে সোমবার (৩ অক্টোবর) মহাঅষ্টমী শুরু হয়েছে। গতকাল মহাসপ্তমীতে দুর্গা ভক্তরা দেবীর আরাধনায় পূজামণ্ডপগুলোতে দিনভর ভিড় জমিয়েছিল।
এবার অষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা। রাতে হবে সন্ধি পূজা। অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল সপ্তমীর সকালে পূজার শুরুতেই দেবী দুর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করানো হয়। এরপর করা হয় নবপত্রিকা স্থাপন। নবপত্রিকার আরেক নাম হলো কলা বউ স্নান। এ ছাড়া দেবীর চক্ষুদানের মাধ্যমে দেবী দুর্গার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পূজা শেষে হাতের মুঠোয় ফুল, বেলপাতা নিয়ে ভক্তরা মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে দেবীর পায়ে এবারের পূজার প্রথম অঞ্জলি দেন। ঢাকের বাদ্য, কাসর ঘণ্টা কিংবা শঙ্খধ্বনিতে দেবীর আরাধনার পাশাপাশি করজোরে কাতর কণ্ঠে জগজ্জননীর কাছে বিশ্বের জন্য শান্তিময় প্রার্থনা করেন ভক্তরা।
মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শনিবার শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আগামী ৫ অক্টোবর দূর্গোৎসব শেষ হবে।
এবার মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিটি মণ্ডপে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয়েছে মণ্ডপ পাহারার জন্য।