সামছুদ্দিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গাজীপুর অফিস:পরকীয়া প্রেমের জের ধরে বন্ধুদের দিয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী সহ একই গ্রামের ৪জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা
করে জড়িমানা করেছে আদালত। এসময় সকল আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার(১৯মে) বেলা সোয়া ২টায় গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ ফজলে এলাহী ভূইয়া ওই রায় ঘোষনা করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নিহতের স্বামী মোঃ আইয়ুব লালন, পিতা মোঃ ছলিম মুন্সি। বাড়ি গাজীপুর মহানগরের ২৪ নং ওয়ার্ডের চাপুলিয়া গ্রামে।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত তিন বন্ধু হলেন, একই গ্রামের জুলহাস খানের ছেলে মোঃ হানিফ, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে মোঃ মুলুক হোসেন ও মোঃ বদিউল আলমের ছেলে মোঃ রানা।
আদালতের আদেশের সারসংক্ষেপে বলা হয়, গাজীপুর মহানগরের চাপুলিয়া গ্রামের আইয়ুব লালন ১০ বছর আগে একই গ্রামের মোর্শদা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর
শশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নির্যাতন করে বিভিন্ন সময় ১০ লাখ টাকা যৌতুক নেন লালন। এই অবস্থায় এই দম্পতি দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়।
সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে আসামী লালন প্রতিবেশী প্রবাসী জনৈক মোঃ মোবারক হোসেন দুলুর স্ত্রী মোসাঃ আইরিন বেগমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে
পড়েন। এতে স্ত্রী প্রতিবাদ করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় লালনের তিন বন্ধু(দন্ডিত তিনজন) লালনের স্ত্র্রীকে স্বামীর কথা বলে ঘর থেকে বের করে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করেন। ভিকটিমের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তিন আসামী পালানোর চেষ্টা করেন। জনতা এ সময় আসামী মানিককে ছোঁড়া সহ হাতে নাতে আটক করে। পরবর্তি সময় জনতা আটক মানিককে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এদিকে আশংকাজনক অবস্থায় ভিকটিমকে গাজীপুর সদর হাাসপাতাল থেকে ঢাাক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে পরদিন ৬নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাাতলে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধু মোর্শেদা বেগম মারা যান। এই ঘটনায় নিহতের চাচা বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামীদের
গ্রেফাতর করে আদালতে পাঠায়। আসামীদের মধ্যে মানিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি প্রদান করে অপরাধ স্বীকার করেন।
পরবর্তিতে ওই মামলায় পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত স্বাক্ষ্য প্রমানে অপরাধ সন্হোতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় অভিযুক্ত ৪ আসামীকে
মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জড়িমানাও করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অতিরক্ত পিপি মোঃ আতাউর রহমান খান।