চালের বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর পাইকারি কৃষি মার্কেটে চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ৩ টাকা কমেছে। এছাড়া খুচরা বাজারে কমেছে ২ টাকা পর্যন্ত। তবে ঊর্ধ্বমুখী ডিমের বাজারে এবার চাহিদামতো সরবরাহ না পাওয়ার অজুহাত খুচরা বিক্রেতাদের।
রাজধানীর অন্যতম বড় পাইকারি বাজার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে মাসের শুরুতেই চালের দামে স্বস্তির খবর পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে দাম বাড়ার আগাম বার্তা পাওয়ার পরও এ সপ্তাহে এসে পাইকাররা জানালেন, ৫ থেকে ৭ দিনের ব্যবধানে নাম ও মানভেদে সব ধরনের চালের দর কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। পাশাপাশি সরবরাহ সংকট নেই বরং দাম আরও কমার আভাস মিলছে।
দাম কমার বিষয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, সপ্তাহ ব্যবধানে চালের দাম প্রকারভেদে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মিলারদের কাছে এখন চাল রয়েছে। চালের অর্ডার দিলে চাল পাওয়া যাচ্ছে। সামনে চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা আমরা তেমন দেখছি না। এছাড়া মাস দেড়েক পরে বাজারে নতুন চাল আসবে। তখন দাম আরও কমে যাবে।
পাশের নতুন কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতারাও চালের বাজার পড়তির দিকে বলে জানিয়েছেন। যদিও অনেক মার্কেটে দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সবখানেই চালের বিক্রি কমে গেছে।
এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলেন, সব ধরনের চালের দামই ১ থেকে ২ টাকা কমেছে। সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কারণে চালের বেচাবিক্রি কমে গেছে। আগে যেমন সকাল বিকাল চালের দাম বেড়ে যেত, এখন তা কমেছে।
চালের দাম কমার বিষয়ে একজন ক্রেতা বলেন, সরকার যদি চালের দাম আরও কমায় তাহলে আমাদের মতো গরীবদের জন্য বেশ উপকার হবে।
এদিকে প্রোটিনের বাজারে আবারও উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে ডিম। বিক্রেতাদের অজুহাত, চাহিদামতো ডিমের সরবরাহ মিলছে না।
দাম বাড়ার বিষয়ে ডিম বিক্রেতারা বলেন, আগে ডিম কিনতে গেলেই পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যায় না। সরবরাহ নেই, তাই ডিমের দাম বাড়ছে। আগে প্রতি হালি ডিমের দাম ৪৬ টাকা ছিল, ৩ দিন ধরে ১ টাকা বেড়েছে।
এদিকে নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়া এক ক্রেতা বলেন, যাদের বাজার তদারকি করার কথা, তারা তো তা করছেন না। তাই আমাদের মতো ক্রেতাদের দুর্ভেোগ পোহাতে হচ্ছে।
তবে মুরগির বাজারে সরবরাহ যেমন স্বাভাবিক রয়েছে, তেমনি দামও স্থিতিশীল রয়েছে।