বাহার উদ্দিন বকুল, জেদ্দা থেকে
জেদ্দাঃ ৩০ বৈশাখ, ১৪২২, (১৪ মে), বৃহস্পতিবার, বৈশাখের শেষ দিন। কিন্তু শেষ হয়েও যেন হয় না শেষ বর্ষবরণের রেশ। বৈশাখের শেষ দিনের শেষ বিকেলে জেদ্দা প্রবাসী কিছু তরুণ আয়োজন করে মরু বৈশাখী!
সৌদি আরবের প্রাচীণ রাজধানী জেদ্দার দক্ষিণ অবহোরে, একটি মনোরম পিকনিক স্পটে আয়োজিত মরু-বৈশাখীতে ঢল নামে শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবকসহ সব বয়েসি বাংলাদেশীর। দুপুরের খরতাপ মিলিয়ে গিয়ে সন্ধ্যায় আবহাওয়া ছিল ফুরফুরে। বৈশাখী বর্ষবরণকে প্রাণবন্ত করতেই যেন সাথে যুক্ত হয় জন্মদিন পালন।
হ্যাঁ ছেলে জিসানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশাল জন্মদিনের কেক নিয়ে স্বপতীক হাজির হন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান। ‘এসো হে বৈশাখ এসো, এসো’ সুর মুর্চ্ছণার সাথে যুক্ত হয় ‘শুভ জন্মদিন জিসান’।
শেষ বৈশাখী বলেই হয়তো পিঠা-পুলির উপস্থিতি ছিল না। তবে ভূড়িভোজের আয়োজন ছিল ষোল আনা বাঙালিয়ানা। পোলাও, মুরগির রোষ্ট, গরুর গোস্ত আর চিংড়ি-সবজি। সাথে সালাদ, কোমল পানীয়। সব মিলিয়ে বেশ লোভনীয়। লোভনীয় খাওয়ার পালা শেষ করেই শুরু হয় বৈশাখী বরণ সাংস্কৃতিক আয়োজন।
সূচনায় মরু-বৈশাখী শুভেচ্ছা বিনিময়। বাহার উদ্দিন বকুলের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন আবদুল মান্নান। প্রধান অতিথি বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ্জ আবদুর রহমান। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন নূর মোহাম্মদ ভূইয়া, এ.কে. আজাদ চয়ন, সেলিম রেজা, নুরুল আমিন, সাঈদুল ইসলাম, এরশাদ হোসেন, হানিস সরকার, আলমগীর কবির প্রমুখ। তাছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শাহ আলম, আমজাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম জসিম, উজ্জ্বল, গোলাম মোহাম্মদ রবি।
আলোচকবৃন্দ এমন একটি আনন্দঘণ মরু-বৈশাখী আয়োজনের জন্যে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। আহ্বান জানান এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্যে। সাংস্কৃতিক আয়োজনে শুরুতে ছিল কিশোরীদের ফ্যাশন শো।
এরপর জেদ্দার বিশিষ্ট শিল্পী মিজান এর তত্বাবধানে নাচ-গানে বৈশাখী আমেজে আপ্লুত হয় উপস্থিত সকলে। ছোট্টমনি আমান এরশাদ এর নাচ দারুণ উপভোগ্য হয়। গানে কন্ঠ দেন রাওয়াজ, আকিলা, লিলি, সামিয়া, সেলিম, মিজান।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধিগণ ছাড়াও জেদ্দার সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গণের প্রতিনিদিগণ উপস্থিত ছিলেন। শেষ বৈশাখের শেষ দিনে মরু-বৈশাখী শেষ হয় আবেগঘন বৈশাখের প্রথম দিনটির মতোই।