পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে। এ ছাড়া এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ৬৫ জন।
আজ সোমবার সকালে করতোয়ায় দুটি, দিনাজপুরের খানসামার আত্রাই নদীতে একটি এবং আরও তিনটি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর পরিচয় জানা যায়নি।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘ভোর ৬টা থেকে রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহীর তিনটি ডুবুরি ইউনিট উদ্ধার কাজ করছে। ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে। প্রত্যেক ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে রোববার পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবে শিশু, নারীসহ ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গতকালই দুর্ঘটনায় মৃত ২৫ জনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। এদের মধ্যে ১২ নারী, আট শিশু ও পাঁচ পুরুষ রয়েছেন। তাদের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা, দেবীগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও জেলায়।
নৌকাডুবিতে মৃতরা হলেন- শ্যামলী রানী (১৪), লক্ষী রানী (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫), শোভা রানী (২৭), দীপঙ্কর (৩), পিয়ন্ত (২.৫), খুকি রানী (৩৫), প্রমিলা রানী (৫৫), ধনবালা (৬০), সুনিতা রানী (৬০), ফাল্গুনী (৪৫), প্রমিলা দেবী (৭০), জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), তারা রানী (২৫), সনেকা রানী (৬০), সফলতা রানী (৪০), হাশেম আলী (৭০), বিলাস চন্দ্র (৪৫), শ্যামলী রানী ওরফে শিমুলি (৩৫), উষশী (৮), তনুশ্রী (৫), শ্রেয়শী, প্রিয়ন্তী (৮), সনেকা রানী (৬০) ও ব্রজেন্দ্রনাথ (৫৫)।
এদিকে, এ ঘটনায় জরুরি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, এ জেলার ইতিহাসে ভয়াবহ নৌকাডুবি এটি। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিপঙ্কর রায়কে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সবগুলো মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সৎকারের জন্য পরিবারগুলোকে দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার করে টাকা।